সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি intranasal vaccine বা নাক দিয়ে নেওয়ার উপযুক্ত টিকাকে করোনা ভ্যাকসিনের (COVID vaccine) বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহারের ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়ে দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। দেশের ৯ জায়গায় বুস্টার ডোজ হিসাবে এই ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিনের ব্যবহারের ট্রায়াল হবে।
গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত বায়োটেকের তরফে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চাওয়া হয়। গত ৫ জানুয়ারিই DCGI-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি ভারত বায়োটেকের এই ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছিল। এই ভ্যাকসিনকে বুস্টার হিসাবে ব্যবহার করা যায় কিনা, সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তাও তখন থেকে শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ৫ হাজার সুস্থ ব্যক্তির উপরে ট্রায়াল চালানো হবে। এদের মধ্যে অর্ধেক কোভ্যাক্সিন ও অর্ধেক কোভিশিল্ড টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন।
[আরও পড়ুন: গোয়ার নির্বাচনী লড়াই থেকে সরলেন লুইজিনহো, তৃণমূলের হয়ে লড়বেন আত্মীয়া]
ভারত বায়োটেক কেন্দ্রকে জানিয়েছিল, যাঁদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে তাঁদের ন্যাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) হিসেবে দেওয়া হলে ভাল ফল মিলতে পারে। শুক্রবার সেই ট্রায়ালের প্রস্তাবেই ছাড়পত্র দিয়ে দিল ডিজিসিআই। শীঘ্রই ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে। সম্ভবত মার্চ থেকেই বুস্টার ডোজ শুরু করার অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্র। তবে, সেটা নির্ভর করছে ট্রায়ালের সাফল্যের উপর।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিবেশীদের মধ্যে একতা জরুরি’, মধ্য এশিয়ার সম্মেলনে আফগানিস্তান ইস্যুতে উদ্বিগ্ন মোদি]
প্রসঙ্গত, দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। পাশাপাশি কো-মর্বিডিটি যুক্ত প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজ। ইতিমধ্যেই দেশের ১৬৪ কোটিরও বেশি দেশবাসী পেয়েছেন টিকা। প্রায় এক কোটি মানুষ পেয়ে গিয়েছেন বুস্টার ডোজ। এবার ন্যাজাল ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসাবে ছাড়পত্র পেলে আরও বাড়ানো যাবে টিকাকরণের গতি। আর এই হাতিয়ারে ভরসা করেই ফের স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরতে চাইছেন আমজনতা।