সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলে বিস্তর আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে! ছাড় পাবেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। সেই ভয়েই আগ্রার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী মানব শর্মা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করলেন তাঁর বোন আকাক্ষা।
এক সংবাদমাধ্যমকে মানবের বোন জানিয়েছেন, আগ্রারই বাসিন্দা নিকিতার সঙ্গে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্ত্রীর বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে চাপে ছিলেন মানব। স্বামী-স্ত্রী দু'জনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন। এমনটাই জানত পরিবার। কিন্তু মানবকে বিচ্ছেদ না দেওয়ার কথা বলে চাপ দিচ্ছিলেন নিকিতা। সঙ্গে আইনি ঝামেলার কথা মনে করিয়ে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতির কথা বলে মানবকে হুমকি দিয়েছিল নিকিতা, এমনই অভিযোগ আকাক্ষার। তিনি বলেন, "মানব ও নিকিতা আপসে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করবে বলে ঠিক ছিল। তবে হুমকির জেরে দাদা ভাবতে শুরু করে, সব আইন মহিলাদের পক্ষে। বিবাহবিচ্ছেদ খুব সহজে হবে না।"
মৃত যুবকের বোন আরও জানিয়েছেন, প্রিয়া নামের এক যুবতী মানবকে ফোন করে নিকিতার আগের সম্পর্ক ও তাঁর দুই বোনের সম্পর্কে একাধিক তথ্য দেয়। তাঁরা নাকি ছেলেদের নিজেদের জালে ফাঁসিয়ে তাঁদের জীবন শেষ করে দেন। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁরা মুম্বই থেকে আগ্রার বাড়িতে ফিরে আসে। পরের দিন উকিলের কাছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার পরিবর্তে নিকিতা, মানবকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে হুমকি দেয় নিকিতার পরিবার। এমনকী মৃত্যুর আগে মানব তাঁর বাবাকে জানিয়েছিল নিকিতা, বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করলে তা মানবের জন্য ভালো হবে না।
এরপরই ২৪ ফেব্রুয়ারি মানব আত্মহত্যা করেন। ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যার আগে আবেগঘন ভিডিও করেছেন তিনি। তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে মানব পুরুষদের পক্ষে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের কথাও প্রকাশ্য়ে এনেছেন। ছেলের মৃত্যুর পর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মানবের বাবা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
