সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই নাবালক সন্তানকে খুন করে সস্ত্রীক আত্মঘাতী অধ্যাপক! ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে হায়দরাবাদের হাবসিগুড়ায়। মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে পুলিশের তরফে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। পুলিশের দাবি, প্রথমে সন্তানদের গলা টিপে হত্যা করেন ওই দম্পতি। এরপর পাশের ঘরে গিয়ে আত্মঘাতী হন তাঁরা।
ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি থানার পুলিশ আধিকারিক এন রাজেন্দ্র বলেন, হাবসিগুড়ার রবীন্দ্রনগর কলোনিতে বাস করত ওই পরিবার। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রতিবেশীদের থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর বাড়ির মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় চারজনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দুই সন্তানের গলা টিপে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই সুইসাইড নোটটি মৃত যুবকের লেখা। যেখানে ওই যুবক দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তার উপর চাকরি হারানোর জেরে চরম আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। যার জেরেই গোটা পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী হন তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই পরিবার আদতে মেহবুবনগর জেলার মুকুরাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। বছরখানেক আগে হাবসিগুড়াতে আসেন তাঁরা। পূর্বে একটি বেসরকারি কলেজে লেকচারার হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। তবে গত ৬ মাস ধরে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। যার জেরেই মানসিক অবসাদে এই কাণ্ড ঘটান তিনি।
