সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর কাণ্ড দেখে থ গোটা দেশ। নিন্দার ঝড় বইছে দেশজুড়ে। একজন শিক্ষিকা কীভাবে স্রেফ মুসলিম হওয়ায় পড়ুয়াকে সহপাঠীদের দিয়ে মার খাওয়াতে পারেন! ভেবে স্তম্ভিত শিক্ষা মহল। অথচ ওই শিক্ষিকার কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। এমনকী নিজের কাণ্ডের জন্য কোনওরকম আক্ষেপও নেই তৃপ্তা ত্যাগীর।
তিনি একপ্রকার ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলছেন, ‘যা করেছি বেশ করেছি। এতে আমরা একটুও আক্ষেপ নেই। আমি শিক্ষিকা হিসাবে বহু বছর এই গ্রামের মানুষের সেবা করেছি। এই গ্রামের সকলেই আমার সঙ্গে আছেন।’ তৃপ্তা ত্যাগীর বক্তব্য, পড়ুয়াদের নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা এভাবেই পড়ুয়াদের নিয়ন্ত্রণ করি।
[আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-সহ একাধিক সফল মিশনে মহিলা বিজ্ঞানীদের মেধা, ইসরোর ৭ মহিয়সীকে কুর্নিশ]
ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সহপাঠীদের দিয়ে এক মুসলিম পড়ুয়াকে মারধর করিয়েছেন। মূল ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের একটি বেসরকারি স্কুলের। নামতা বলতে পারেনি এক মুসলিম পড়ুয়া। এর পরই ক্লাসের শিক্ষিকা নির্দেশ দেন, সহপাঠীরাই ওই পড়ুয়াকে মারধর করবে। শিক্ষিকা আরও বলেন, মুসলিম মহিলারা তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখেন না। সেই জন্যই মুসলিম পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান এত খারাপ। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার পর নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশ।
[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার কারখানা চালাচ্ছেন মোদি-শাহ’, উত্তরপ্রদেশে মুসলিম পড়ুয়ার নির্যাতন নিয়ে সরব তৃণমূল]
কংগ্রেস, AIMIM-এর মতো বিরোধী দল তো বটেই প্রকাশ রাজ, স্বরা ভাস্করদের মতো সেলিব্রিটিরাও ওই শিক্ষিকার নিন্দা করেছেন। চাপে পড়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। যদিও ওই শিক্ষিকা সাফ বলছেন, ছোট ঘটনাকে বড় করে তোলা হয়েছে। বলেন, “আমার তেমন উদ্দেশ্য ছিল না। আমি ভুল স্বীকার করছি কিন্তু অকারণে বড় ইস্যুতে পরিণত করা হয়েছে।”
