সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগে মোদির যুদ্ধনীতির প্রশংসা করেছিলেন। এবার ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাঁর বক্তব্য, "বিজেপির শক্তিশালী সংগঠন। আগামী দিনে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।"
চিদম্বরম এক অনুষ্ঠানে বলেন, "বিজেপির সংগঠন খুবই শক্তিশালী। আমার যেটুকু জ্ঞান, যেটুকু পড়াশোনা, তাতে বিজেপির থেকে শক্তিশালী সংগঠন কোনও দলের কোনও কালে ছিল না।" প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কথায়, "বিজেপি কাজ করে মেশিনের মতো। সঙ্গে আরএসএস। একটা মেশিনের নেপথ্যে আরও একটা মেশিন। আর এই দুই মেশিন মিলে ভারতের সব মেশিনারি নিয়ন্ত্রণ করছে। সেটা নির্বাচন কমিশন হোক বা ইডি-সিবিআই।" এরপরই বিরোধী শিবিরের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। চিদম্বরম বলে দেন, "আমার মনে হয় না, আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোট একত্রিত থাকবে।"
ঠিক অপারেশন সিঁদুরের পর যেভাবে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ হেন শীর্ষ নেতা প্রশ্ন তুলে দিলেন, তাতে বিরোধীদের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে। বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে গিয়েছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, "রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতারাও বুঝে গিয়েছেন যে বিজেপিই শক্তিশালী দল।"
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী বেশিরভাগ শক্তি একত্রিত হয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করে। কিন্তু লোকসভার পর সেই ইন্ডিয়া কার্যত অস্তিত্বহীন। হরিয়ানা-দিল্লির মতো নির্বাচনে আলাদা আলাদা লড়াই করেছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। যার অবধারিত ফলাফল হিসাবে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আবার কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ডে একত্রে লড়ে সাফল্য পেয়েছে ইন্ডিয়া শিবির। সব ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অন্য শরিকরা। এবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করলেন।
