নন্দিতা রায়: বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদীয় প্রতিনিধিদেলর মণিপুর (Manipur) সফর নিয়ে সকালেই খোঁচা দিয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলে দিয়েছিলেন,”বিরোধীরা মণিপুরের পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।” INDIA জোটের প্রতিনিধিরা স্রেফ ফটো সেশনের জন্য মণিপুরে গিয়েছেন, সে কটাক্ষও ধেয়ে এসেছে বিজেপির তরফে।
কিন্তু মণিপুরে গিয়ে INDIA জোটের ২০ জন সাংসদের বক্তব্য, তাঁরা রাজনীতি করতে বা পরিস্থিতি অশান্ত করতে যাননি। গিয়েছেন মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নিতে। এদিন সকালেই ইম্ফলে পৌঁছে কপ্টারে সেখান থেকে চুড়াচাঁদপুর যান বিরোধী পক্ষের সাংসদরা। সেখানে সরকারি ত্রাণ শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ওই প্রতিনিধি দল। কংগ্রেসের (Congress) লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই দলে আছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব (Susmita Deb), আরডেজির মনোজ কুমার, আপের সুশীল গুপ্তা, কংগ্রেসের গৌরব গগৈ, ডিএমকের কানিমোঝি-সহ জোট শরিকের ২০ জন।
[আরও পড়ুন: ‘মহাভারতেও ছিল লাভ জেহাদ’, অসমের কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, হুঁশিয়ারি হিমন্তর]
চুড়াচাঁদপুরের ত্রাণ শিবিরে গিয়ে অধীর বলেন,”ওদের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওরা ভীষণ ভয়ে আছে। কারও সঙ্গে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। ওরা জানে সরকার ওদের পাশে দাঁড়াবে না। সরকারের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলেছে ওরা। ভয়ংকর পরিস্থিতি।” অধীর বলেন,”আমরা এসেছি মানুষের দুঃখ ভাগ করে নিতে। রাজনীতি করতে নয়। ওরা আজ সিবিআইয়ের কথা বলছে। এতদিন কোথায় ছিল?” তৃণমূলের সুস্মিতা দেবও বলেন, আমরা কুকিদের কথাও শুনব। মেইতেইদের কথাও শুনব। সবার কথাই শোনা উচিত।”
[আরও পড়ুন: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, নিউটাউনে হিডকোর আরও বেআইনি জমি দখলের খোঁজ]
উত্তপ্ত মণিপুরের বর্বরোচিত ঘটনায় সংসদের ভিতরে ও বাইরে একজোট ‘ইন্ডিয়া’ জোট নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের আন্দোলনের জেরে স্বয়ং মোদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এমনকী, নানাভাবে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করলেও সংসদে আসছেন না। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের দু’দিনের মণিপুর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।