shono
Advertisement

Breaking News

India Pakistan Tensions

সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কেও ধাক্কা পাকিস্তানের, 'হস্তক্ষেপ করব না', মোদিকে আশ্বাস প্রেসিডেন্টের

শুকিয়ে মরার আশঙ্কা বাড়ছে পাকিস্তানের।
Published By: Subhajit MandalPosted: 10:14 AM May 09, 2025Updated: 03:39 PM May 09, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত (India) সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করায় শুকিয়ে মরার আশঙ্কায় পাকিস্তান (Pakistan)। বিশ্বব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েও বিশেষ লাভ সম্ভবত হচ্ছে না ইসলামাবাদের। ভারত যদি চুক্তি বাতিল করেও তাতে কিছু বলার থাকবে না বিশ্বব্যাঙ্কের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকে নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হলেও দুজনের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কথা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন বাঙ্গা। সূত্রের দাবি, অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে তিনি আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন যে ভারত সিন্ধু চুক্তি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাতে হস্তক্ষেপ করবে না বিশ্বব্যাঙ্ক।

আসলে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি হলেও সেই চুক্তিতে দুই দেশের অসন্তোষ বা আপত্তি নিয়ে মধ্যস্থতা করার দায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেই। অন্তত অজয় বাঙ্গার তাই দাবি। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ছেন, দুদেশের কেউ এই চুক্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করলে বিশ্বব্যাঙ্ক শুধু সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ঠিক করে দিতে পারে। নিজেরা মধ্যস্থতা করতে পারে না। অজয় বাঙ্গার কথায়, "আমরা শুধু ওই বিশেষজ্ঞদের খরচটা একটা তহবিল থেকে মেটাবো। ওই তহবিলও চুক্তির সময় তৈরি হয়েছিল। এর বাইরে আমাদের আর কোনও দায়িত্ব নেই।"

উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান (India-Pakistan)। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। এই পদক্ষেপকে যুদ্ধ ঘোষণার সমকক্ষ বলে তোপ দেগেছে পাকিস্তান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করায় শুকিয়ে মরার আশঙ্কায় পাকিস্তান।
  • বিশ্বব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েও বিশেষ লাভ সম্ভবত হচ্ছে না ইসলামাবাদের।
  • ভারত যদি চুক্তি বাতিল করেও তাতে কিছু বলার থাকবে না বিশ্বব্যাঙ্কের।
Advertisement