সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে দুই প্রতিবেশী। হামলা হতে পারে সমুদ্রপথেও। তাই যুদ্ধ জাহাজগুলিকে আরও শক্তিশালি করতে পদক্ষেপ করছে নৌবাহিনী। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ৩৮টি সুপারসনিক ব্রহ্মস মিসাইল (BrahMos Missile) পেতে চলেছে নৌবাহিনী। যা বিশাখাপত্তনমে নির্মীয়মান যুদ্ধ জাহাজে মোতায়েন থাকবে। দ্রুত এই জাহাজগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীতে নিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সরকারি সূত্রে খবর, এই ৩৮টি সুপারসনিক ক্রজ মিসাইল নৌবাহিনীতে (Indian Navy) অন্তর্ভুক্ত করতে ১৮০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। সেই অর্থ চেয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাহিনী। প্রতিরক্ষামন্ত্রক দ্রুত এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেবে বলেই খবর। উল্লেখ্য, এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলগুলি ৪৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম।
[আরও পড়ুন : প্রমাণ নেই, দিল্লির আদালতে বেকসুর খালাস তবলিঘি জামাতের ৩৬ বিদেশি সদস্য]
ভারতীয় নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজে ইতিমধ্যে ব্রহ্মস মিসাইল ইনস্টল করা হয়েছে। যুদ্ধাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, শত্রুদের উপর হামলা চালাতে ভারতীয় নৌবাহিনীর সবচেয়ে কার্যকরি অস্ত্র ব্রহ্মস মিসাইল। তাই আরও সুপারসনিক মিসাইল বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হল বাহিনী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাধিকবার এই সুপারসনিক মিসাইল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। আর প্রতিবারই তাঁরা সফল হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা চালায় ভারত। এটি লক্ষ্যভেদ করতে সফল হয়। এর আগে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের একদফা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল অক্টোবরে। তবে চূড়ান্তভাবে তা পরখ করে নিতেই ছিল এদিনের পরীক্ষা।
[আরও পড়ুন : কথা রাখল বিজেপি! বিনামূল্যেই কোভিড টিকা পাবে বিহারবাসী, সিলমোহর নীতীশের]
প্রসঙ্গত, ব্রহ্মস ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা নিখুঁত। ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় এটি। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও এখন তা ৪৫০ কিমি দূরেও গিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে। ভারত (India) ও রাশিয়া (Russia) যৌথভাবে ব্রহ্মস তৈরি করে ফেলার পর গোটা বিশ্বের সমর বিশারদদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্রুজ মিসাইল।