সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে তুরস্কের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবারই তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাতিল করেছিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউ-এর দেখানো পথেই এবার হাঁটল জামিয়া। জামিয়া কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা তুরস্কের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ার, ২০২৫ ইনোনু-সহ তুরস্কের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছিল জামিয়া। ২০২৮ সালে সেগুলির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম নামী এই বিশ্ববিদ্যালয়। জামিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, দেশ এবং দেশের সরকারের পাশে আমারা রয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব চুক্তি বাতিল থাকবে।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের হামলায় মৃত্যু হয়েছে তুরস্কের ২ সেনা আধিকারিকের। পাকিস্তানকে সাহায্য করতে তাঁদের সমরক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছিল বলেই খবর। এখানেই শেষ নয়, তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ভারতের বিরোধী প্রচার চালাচ্ছিল। এই কারণে তাদের এক্স হ্যান্ডেলটিকে ব্লক করেছে নয়াদিল্লি। এইসব তথ্য একে একে প্রকাশ্যে আসতেই দু’মুখো সাপ তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠতে শুরু করে গোটা দেশে। বিশ্বাসঘাতক দেশকে বয়কটের দাবি তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। শুধু তাই নয়, তুরস্ক এবং আজারবাইজান ভ্রমণ বাতিল করে ‘বয়কটে’র ডাকও দিয়েছেন ভারতীয়রা।
