সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। টার্গেট ছিল পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা। কিন্তু লক্ষ্যপূরণের আগে ভেস্তে গেল হামলার ছকর। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করল কাশ্মীর। উদ্ধার হল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র।
অন্ততনাগ এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল জঙ্গিরা। নজরে ছিল পুলিশ ও সেনার কনভয়। অতর্কিত হামলা চালিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানদের খতম করার পরিকল্পনা করছিল তারা। ইতিমধ্যে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিহানার নিশানা হয়েছে পুলিশ কর্মীরা। এবার যদিও তাদের ছক বানচাল করল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন, ৯ দপ্তরের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের]
মঙ্গলবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে অন্ততনাগের পুলিশ জইশ-ই-মহম্মদের দু’টি সন্ত্রাসবাদী মডিউল ধ্বংস করে। তি হাইব্রিজ সন্ত্রাসবাদী-সহ মোট ১১জনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধাক হয় প্রচুর গোলা-বারুদ ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,”সূত্রের খবরের ভিত্তিতে খবর মিলেছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ অনন্তনাগের শ্রীগুফওয়ারা বিজবেহারা এলাকায় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। সেই খবর পাওয়ার পরই বিভিন্ন স্থানে একাধিক চেকপয়েন্ট তৈরি করা হয়।” জানা গিয়েছে, শ্রীগুফওয়ারা গ্রামের সাখরাস ক্রসিংয়ে এরকম একটি চেকপয়েন্টে তল্লাশি করার সময় একটি বাইকে থাকা তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আপত্তিকর সামগ্রী উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে মুসলিম মহিলাদের পাশে মালালা]
এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের হদিশ মেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের নাম আব্বাস আহ খান, জহুর আহ গৌগুজরি এবং হিদায়াতুল্লাহ কুটে। আরও তথ্যর জন্য তাদের জেরা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি হ্যান্ডেলারদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। দু’টি জঙ্গি মডিউল ধ্বংসকে কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের কথায়, পুলিশি তৎপরতায় ভূস্বর্গে বড়সড় জঙ্গি হামলা রুখে দিল।