সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছড়িয়ে পড়েছিল ভিডিও। কেরলের কোট্টায়ামের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের র্যাগিংয়ের দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন নেটিজেনরা। অবশেষে গ্রেপ্তার তৃতীয় বর্ষের ৫ পড়ুয়া।
কী ধরনের অত্যাচার করা হত? ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক পড়ুয়া শুয়ে রয়েছে বিছানায়। তার হাত-পা বাঁধা খাটের প্রান্তে। সে যন্ত্রণায় ছটফট করছে। অন্য একজন পড়ুয়া তার শরীরে ফুটিয়ে দিচ্ছে কম্পাস। এখানেই শেষ নয়, চোখে, মুখে এবং ক্ষতস্থানে একটি সাদা লোশন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে জ্বালা-যন্ত্রণা আরও বাড়তে পারে। অন্য একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, যৌনাঙ্গ থেকে ঝোলানো হয়েছে ডাম্বেল। স্তনবৃন্তে আটকানো জামাকাপড় টাঙানোর ক্লিপ। এমনই নানা দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ রয়েছে, রবিবার মদ কেনার জন্য টাকাও নেওয়া হত প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হাত থেকে। প্রতিবাদ করলেই জুটত মারধর, আরও নির্মম অত্যাচার।
তিনজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া থানায় এমন অভিযোগ দায়ের করতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তাদের দাবি, নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে টানা তিনমাস এমনই নানা অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ পড়ুয়াকে। তাদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-র্যাগিং আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
