সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে শোনা যেত তৃণমূলকে। এরপর উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিকে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের মতোই ভোজপুরিতে ‘খেলা হোই’ স্লোগান দিতে। এবার বিজেপিকে শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের সেই স্লোগান কার্যত চুরি করতে। পাঞ্জাবে সিধু এবং অমরিন্দর সিংয়ের দ্বন্দ্ব বেশ ভালই জমেছে। আর সেই দ্বন্দ্ব বেশ উপভোগও করছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের অন্দরের এই ‘পাওয়ার টাসল’ দেখে বিজেপির এক মুখপাত্র তৃণমূলের স্লোগান চুরি করে বলে বসলেন, ‘খেলা শুরু’।
আসলে পাঞ্জাব নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরের সমস্যা এখনও মেটেনি। বিদ্রোহী সিধুকে বাগে আনতে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ দিয়েছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কয়েকজন দলীয় সাংসদের আপত্তি সত্ত্বেও সিধুকে মহার্ঘ পদে বসিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। দলে সিধুর এই বিরাট উত্তরণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল পাঞ্জাব কংগ্রেসের (Punjab Congress) অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সিধুর এই উত্তরণ মানতে পারছিলেন না। হাই কম্যান্ডের কাছে সিধুর আচরণ নিয়ে নালিশও জানিয়েছিলেন। কিন্তু অমরিন্দরের নালিশকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধীর ইশারায় সিধুকেই প্রদেশ সভাপতি ঘোষণা করেছেন সোনিয়া গান্ধী।
[আরও পড়ুন: মোদির গুজরাটেও ‘শহিদ দিবস’ পালনে বাধা TMC-কে! সরানো হল Mamata’র ব্যানার]
সিধু প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পরও দ্বন্দ্ব কমেনি। অমরিন্দর সিংয়ের সচিব মঙ্গলবার এক টুইটে জানিয়েছিলেন, সিধু মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে এই ক’দিনে যা খারাপ কথা বলেছেন, সেসবের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তিনি প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে দেখা করবেন না। তারপরই ক্ষুব্ধ সিধু বুধবার নিজের শক্তি প্রদর্শন করেন। এদিন সকালে তিনি পাঞ্জাবের দলীয় বিধায়কদের ব্রেকফাস্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সিধুর সেই আমন্ত্রণে কতজন সাড়া দেন, সেদিকে নজর ছিল পাঞ্জাবের রাজনৈতিক মহলের। দেখা গেল প্রদেশ সভাপতির সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছেন ৬২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। অন্যদিকে সিধুর আমন্ত্রণে সাড়া দেননি মাত্র জনা ১৫। কংগ্রেসের অন্দরের এই বিবাদ দেখেই বিজেপির মুখপাত্র আরপি সিং (RP Singh) টুইট করে বললেন ‘খেলা শুরু। সিধু ৬২, অমরিন্দর ১৫।’ ‘খেলা হবে’ যে তৃণমূলের স্লোগান সেটা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন তিনি।
