shono
Advertisement

থাকছে না কড়াকড়ি, করোনা আবহেও প্রতি বছরের মতোই কুম্ভমেলার আয়োজন প্রশাসনের

আগামী জানুয়ারিতে হরিদ্বারে হবে কুম্ভমেলা, প্রশাসনের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন।
Posted: 11:40 AM Nov 23, 2020Updated: 11:47 AM Nov 23, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারীর সময়ে সমস্ত উৎসব, অনুষ্ঠান হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জমসমাগম, ভিড় এড়ানোয়। তবে পবিত্র কুম্ভমেলায় (Kumbh Mela) সেসব কোনও নিয়ম জারি না থাকার ইঙ্গিতই মিলল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। ২০২১এর জানুয়ারি কুম্ভমেলা হওয়ার কথা হরিদ্বারে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানালেন, মেলার আয়োজন যেমন হত, তেমনই হবে। কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে সেটাই তাঁদের চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

তিথি অনুযায়ী, জানুয়ারি ১৪ অথবা ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয় কুম্ভমেলা। গঙ্গার তীরে পবিত্র স্নানপর্ব চলে সাধু, সন্ন্যাসীদের। পুণ্যের টানে কুম্ভে যোগ দেন গৃহীরাও। আগামী বছর ১৪ জানুয়ারি থেকে হরিদ্বারে (Haridwar) শুরু হওয়ার কথা পবিত্র কুম্ভমেলার। সেই উপলক্ষে রবিবার অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ”কোভিড পরিস্থিতিতে মেলা কতদিন ধরে হবে, তা বিচার্য বিষয়। এ ব্যাপারে আখড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেদিকে তৎপর আমাদের সরকার।” তার আগে পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও স্বস্তি নেই দেশের কোভিড গ্রাফে, কমছে করোনাজয়ীর সংখ্যাও]

প্রতি বছরের মতো এবারও কুম্ভমেলায় জনসমাগম হবে, তা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানালেন মেলার দায়িত্বে থাকা অফিসার দীপক রাওয়াত। তিনি জানিয়ছেন, “৯টি নতুন ঘাট, আটটি সেতু, নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ প্রায় একমাস আগে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।” রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মদন সতীশ জানিয়েছেন, ৩৫ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে কুম্ভমেলায়। সেইমতো সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: গান্ধী পরিবারকে ক্লিনচিট, কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য নেতাদেরই দায়ী করলেন গুলাম নবি আজাদ]

আর প্রশ্ন উঠছে এখানেই। করোনা আবহে দেশের প্রায় সমস্ত উৎসব পালিত হয়েছে বিধি মেনে, ভিড় এড়িয়ে। গণেশ চতুর্থী থেকে দুর্গাপুজো থেকে দশেরা, দীপাবলি – জনসমাগমে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল প্রশাসনের তরফে। জনগণের সুরক্ষায় তা ভালভাবে মেনে চলা হয়েছে। আর কুম্ভমেলার মতো বহু জনসমাগমের উৎসবে কেন ভিড়ে রাশ টানার কথা ভাবা হচ্ছে না? মধ্যশীতে হরিদ্বারের গঙ্গাতীরে ৩০ লক্ষ মানুষের জমায়েতে কি আদৌ সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা? উত্তরাখণ্ড সরকারের সিদ্ধান্তে উঠছে হাজারও প্রশ্ন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement