কৃষ্ণকুমার দাস: পুরীর রথযাত্রায় সেবায়েতদের ‘রোজগার’ বন্ধে এবার রথের চারপাশে ভক্তদের অনুদান তথা প্রণামী গ্রহণের জন্য বিশেষ বাক্স বসানোর সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দু’দিন আগেই সেবায়েতদের কোনওরকম অনুদান গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরীর মন্দিরের প্রশাসন। সোমবার পুরীর মন্দির পরিচালনায় তৈরি কমিটির প্রধান প্রশাসক পি কে মহাপাত্র জানান,“১৪ জুলাই রথযাত্রার দিন তিনটি রথের চারপাশেই অনুদান বাক্স ‘হান্ডি’ বসানো হবে। প্রতিটি রথে চারটি করে হান্ডি থাকবে। এছাড়া গুণ্ডিচা মন্দিরেও আলাদা করে আরও ছয়টি বাক্স বসানো হবে। ভক্তরা ওই সমস্ত বাক্সেই দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণামী বা অনুদান দিতে পারবেন।” তবে এবার পুরীর রথযাত্রায় ভগবান জগন্নাথ দেবের পাশাপাশি মন্দিরের নিচের রত্নভাণ্ডার যে অন্যতম আকর্ষণ এবং তা দেখার জন্য ভক্তদের মধ্যে তীব্র কৌতূহল তা স্বীকার করেছেন সেবায়েতরা।
[বৃষ্টিবন্দি মুম্বই, হাঁটুজল ভেঙে কাজ করতে অপারগ ডাব্বাওয়ালারাও]
পুরীর রথযাত্রা ঘিরে এবার বিশেষ নিরাপত্তার পাশাপাশি নজরদারিও চালু করছে জেলাপ্রশাসন। এদিন দুপুরে মন্দির কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও সেবায়েতদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার ভক্তকে রথ ছুঁইয়ে দেওয়া, বিগ্রহকে স্পর্শ করিয়ে দেওয়া এবং দেবতার স্পর্শ পাওয়া ফুল পাইয়ে দেওয়ার কাজ করেন সেবায়েতরা। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সমস্ত রাস্তাই বন্ধ। কিন্তু ভক্তরা যদি প্রণামী বা ডোনেশন দিতে চান তখন কী হবে? সেবায়েতদের এমন প্রশ্নের পরই মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রথের চারপাশে ডোনেশন-বাক্স ‘হান্ডি’ রাখা হবে।
মন্দিরের প্রশাসক পি কে মহাপাত্র এদিন দাবি করেন, এবছর ১৪ জুলাই রথযাত্রায় ১০ লক্ষের বেশি ভক্ত আসবেন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। ২২ জুলাই উলটোরথেও ৬-৭ লক্ষ ভক্ত আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য এদিন পুরীর মন্দিরের অন্যতম প্রধান পুরোহিত জগন্নাথ দৈতাপতি জানিয়েছেন, ভক্ত ও ভগবানের সম্পর্কে অর্থ ও অনুদান কোনদিনই প্রভাব ফেলেনি, এবারও পড়বে না।
[চালু হওয়ার আগেই জিও বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০০ কোটি টাকা অনুদান কেন্দ্রের, তুঙ্গে বিতর্ক]
The post ভক্তদের অনুদান গ্রহণের জন্য এবার পুরীর রথে বসছে ‘হান্ডি’ appeared first on Sangbad Pratidin.
