হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: কুম্ভমেলায় কেউ আসেন গঙ্গাস্নান করতে, কেউ আসেন সাধুসঙ্গ লাভ করতে। আর এই ভক্তকুলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন যাঁরা তাঁরা হলেন নাগা সন্ন্যাসী। কখনও তাঁদের দেখা যায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াতে। আবার কখনও বা বিভিন্ন অস্ত্রের সাহায্যে সামরিক কৃতকৌশলের প্রদর্শন করেন তাঁরা। মুগ্ধ হন তীর্থযাত্রীরা। নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি ঐক্যের উৎসব হয়ে ওঠে নাগা সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতেই।
শোভাযাত্রা চলাকালীন তালে তালে নাগা সন্ন্যাসীদের নাচের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে অধীর থাকেন পেশাদার চিত্র সাংবাদিকরা। পাশাপাশি আগত পুণ্যার্থীরাও তাঁদের মোবাইল ক্যামেরায় তুলে রাখেন সেই দৃশ্য। একই ভাবে তাঁদের স্নানের সময়ও দেখা যায় অপূর্ব দৃশ্য। তাঁরা ত্রিবেণী সঙ্গমের ঠান্ডা জলে নেমে একে অন্যের গায়ে জল ছিটিয়ে স্নান করেন।
এবার পুরুষ নাগা সাধুদের পাশাপাশি মহিলা নাগা সাধুদেরও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। এঁদের জীবনও কিছু কম কঠিন নয়। সংসারের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার পর নিজের পিণ্ডদান করতে হয়। পিণ্ডদান করতে হয় পরিবারের সদস্যদেরও। মহাকুম্ভে পুরুষ নাগা সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। ৫০ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করেছেন। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। মহাকুম্ভের আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।