সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড্ড মুখে মুখে তর্ক করে! এই ‘অপরাধে’ দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন (Murder)? এমনই অভিযোগে এক ব্যক্তিকে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও এক বন্ধু-সহ গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জেরায় ৩৬ বছরের ঋষি নামে লোকটি দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মমতাকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঋষি, তার প্রথম স্ত্রী বেবি ও বন্ধু করণ, সকলেই বিহারের (Bihar) বাসিন্দা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিল্লির (Delhi) নারেলার।
গত ১৮ এপ্রিল পুলিশ জানতে পারে, নারেলার এক সরকারি স্কুলের কাছে ঝোপে এক মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। রাকেশ নামে জনৈক সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঋষির প্রতিবেশী রাকেশ পুলিশকে জানান, তিনি ঋষি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ১৬ এপ্রিল বাজারে যেতে দেখেছিলেন। পরদিন তিনি ঋষিকে মনমরা হয়ে ঘুরতে দেখে জানতে চান, কী হয়েছে। ঋষি সাংসারিক সমস্যার কথা বলে, জানায়, মমতাকে সে গুরগাঁওয়ে আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। পরদিন ঋষি কাজের জায়গায় যায়নি, জ্বর হয়েছে বলে ফোনে রাকেশকে জানায়।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরম কাড়ল আরও এক প্রাণ, হিট স্ট্রোকের বলি যাদবপুর বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী]
ডিসিপি (আউটার নর্থ) ব্রিজেন্দ্র কুমার যাদব বলেছেন, রাকেশ চাপাচাপি করলে ঋষি ফোনে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বীকার করে, সে বন্ধু করণের সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে মমতাকে ১৬ তারিখ মেরে ফেলেছে। এমনকী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার আগে মমতাকে করণ ধর্ষণ করে বলেও জানায় ঋষি।
সব জানার পর ঋষি, করণ, ঋষির প্রথম স্ত্রী বেবিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানান ডিসিপি। জেরার মুখে ঋষি কবুল করে, মমতা কথায় কথায় তর্ক জুড়ে দিত বলে তার ওপর বিরক্তি ধরে গিয়েছিল তার। আর সতীনকে সহ্য করতে পারত না বেবিও। তাই মমতাকে প্রাণে মেরে ফেলায় তারও পূর্ণ সমর্থন ছিল।
