সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন ভগবান শিব। জানিয়েছেন, ১৬৩ নং জাতীয় সড়কের কোনও এক বিশেষ স্থানে তিনি অবস্থান করছেন। আর এই আদেশ পেয়ে নিজের হাতে জাতীয় সড়কই খুঁড়তে শুরু করে দিলেন এক যুবক।
[ শিরডি সাই মন্দিরে ভক্তদের পদক্ষেপেই তৈরি হবে বিদ্যুৎ ]
তেলেঙ্গানার ওই ব্যক্তির নামে লক্ষ্মণ মনোজ। বছর তিরিশের লক্ষ্মণের বিশ্বাস, তিনি অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারী। ভগবান শিবের অতিবড় ভক্তও বটে। একদিন স্বপ্নে নাকি তিনি খোদ তাঁর আরাধ্যের দেখা পেয়েছেন। স্বপ্নেই শিবঠাকুরের আপন দেশের সন্ধানও তিনি পেয়েছেন। তা নাকি ১৬৩ নং জাতীয় সড়কের নিচেই। সেখানেই কোথাও আছে শিবলিঙ্গ। এ স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্র নিজেই সরজ্ঞাম নিয়ে জাতীয় সড়কে হাজির হন তিনি। সহায়ক হন স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা। নিজের হাতেই জাতীয় সড়ক খুঁড়তে শুরু করেন তিনি। এবং নয় নয় করে অনেকটা খনন করেও ফেলেন। তাঁর উৎসাহের জেরে দফারফা জাতীয় সড়কের। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। কিছুতেই ওই ব্যক্তিকে নিরস্ত করতে না পেরে শেষমেশ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে গ্রামের সরপঞ্চ, কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও এক কংগ্রেস নেতাকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই ব্যক্তির অন্ধ ধর্মবিশ্বাসে প্ররোচনা দিয়ে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁরা।
ধর্মবিশ্বাসের জেরে এদেশে বহুকিছু ঘটে। এমনকী স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের রমরমাও বেড়েছে এই বিশ্বাসের কারণে। কখনও সখনও তা পৌঁছেছে ভক্তদের যৌন হেনস্তার পর্যায়ে। এই ব্যক্তির সম্পর্কে অবশ্য সেরকম কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বরাবরই লক্ষ্ণণ শিবের বড় ভক্ত। নিত্য পুজো আচ্চা করেন। সেইসঙ্গে নিজেকে দৈবিক ক্ষমতার অধিকারী বলেও মনে করেন তিনি। সেহেতুই এই স্বপ্নাদেশ। যদিও ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, তিনি যখন তাঁর স্বপ্নাদেশের কথা বলেন তখন গ্রামবাসীরা তা বিশ্বাস করতে চাননি। অথচ তিনি নিশ্চিত জানেন জাতীয় সড়কের নিচেই আছে শিবলিঙ্গ। এরপরই তিনি খোঁড়াখুড়ি শুরু করেন। পুলিশও প্রথমে অকুস্থলে এসে একটু হকচকিয়ে যান। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু যখন আরও গভীরে খুঁড়তে শুরু করেন ওই ব্যক্তি, তখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিবলিঙ্গের বদলে শেষমেশ হাতে পড়ল হাতকড়া।
[ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেও সন্ন্যাসী হতে চায় এই কিশোর ]