সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এবার রূপ পালটে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে এই মারণ ভাইরাস। সংক্রমণ রুখতে জমায়েতে বারবার রাশ টানার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতেই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে চলছে কুম্ভমেলা (Kumbh Mela)। আরও বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীর শরীরে কোভিডের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার কুম্ভমেলা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরঞ্জনি আখড়া ও তপোনিধি শ্রী আনন্দ আখড়া।
[আরও পড়ুন: ‘বয়স হলে মানুষকে মরতে হবেই,’ করোনায় মৃত্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ এপ্রিলের ১৭ তারিখ কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করবেন ওই দুই আখড়ার সন্ত ও অনুগামীরা। পিটিআইকে নিরঞ্জনি আখড়ার সেক্রেটারি রবীন্দ্র পুরি বলেন, “মেষ সংক্রান্তি উপলক্ষে অপ্রিলের ১৪ তারিখ প্রধান শাহী স্নান শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীর শরীরে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের জন্য এবারের মতো কুম্ভমেলা শেষ।” এদিকে, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরি মহারাজও করোনা আক্রান্ত হয়ে আপাতত এইমসে চিকিৎসাধীন। গত এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ মধ্যপ্রদেশের মহা নির্বাণী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কপিল দেবের করোনাত মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে সন্তদের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
উল্লেখ্য, দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ভারত। এর মধ্যেই করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে কুম্ভমেলায় মানুষের ঢল।সূত্রের খবর মানলে, সোমবার কুম্ভমেলায় (Kumbh Mela) প্রায় ২৮ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যার মধ্যে ১০২ জনের করোনা (Corona Virus) পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তবে এই সংখ্যা মাত্র ১৮,১৬৯ জন ভক্তের পরীক্ষার পরই জানা গিয়েছে। বাকিদের পরীক্ষার খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। কুম্ভমেলার এই ছবি সামনে আসার পরই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশে। কুম্ভমেলায় অংশ নিতে হলে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে, উত্তরাখণ্ড সরকারের এই নির্দেশই তাঁদের রক্ষাকবচ হবে বলে দাবি অনেক ভক্তের। তাঁদের মনে হচ্ছে, কোভিড এখন অতটাও মারাত্মক নয়। পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথা বলছে। করোনা বিধি বলবৎ করায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধেও।