সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল ফণী৷ নির্ধারিত সময়ের প্রায় ঘণ্টাতিনেক আগেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে ভূপৃষ্ঠে৷ এদিকে, ঝড়ের প্রভাবে ক্রমশই শ্রীক্ষেত্রের অবস্থার অবনতি হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি৷ বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া৷ প্রবল জলোচ্ছ্বাস সমুদ্রে৷ পর্যটকশূন্য পুরী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন৷ ব্যাহত ইন্টারনেট পরিষেবা৷ বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে গিয়েছে গাছ এবং হোর্ডিং৷ প্রবল ঝড়ে প্রায় লন্ডভন্ড পুরী৷
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল৷ শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন আবহবিদরা৷ সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল৷ আবহাওয়া দপ্তরের শেষ পাওয়া পূর্বাভাসকে সত্যি করে সকাল নটা নাগাদ ওড়িশা উপকূলে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরে৷ ইতিমধ্যেই পুরী থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পর্যটকদের৷ তিনটি বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্তও করা হয়েছিল৷ নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর৷ আপাতত ওই বিমানবন্দর থেকে কোনও উড়ান ওঠানামা করবে না৷ মোট ১৭৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে৷
[ আরও পড়ুন: উড়ল পুরীর মন্দিরের পতাকা, ফণীতে অশুভ লক্ষ্মণ দেখছেন পুরোহিতরা]
পুরী, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, গঞ্জাম, খোরদা, কটক-সহ বেশ কয়েকটি জেলার অন্তত ১১ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ত্রাণশিবির খুলে সেখানে শুকনো খাবার এবং জলের পাউচ প্যাকেটও মজুত রাখা হয়েছে৷ পুরীর পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ রাখছেন তিনি৷ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মোকাবিলায় প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা৷ বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে৷
ওড়িশা উপকূলে তাণ্ডব চালানোর পর শুক্রবার মধ্যরাতের পর বাংলায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ফণীর৷ প্রায় ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব স্থায়ী হতে পারে৷ প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই আকাশ কালো করে দিঘা, মন্দারমণিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি৷ গার্ড ওয়াল পেরিয়ে রাস্তায় চলে এসেছে সমুদ্রের জল৷ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আপামর বঙ্গবাসী৷
The post ওড়িশা উপকূলে প্রবেশ করল ফণী, প্রবল জলোচ্ছ্বাস পুরীর সমুদ্রে appeared first on Sangbad Pratidin.