সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড ঢেলে সাজাল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, বোর্ডের প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে প্রাক্তন 'র'কর্তা অলোক জোশীকে। এছাড়াও আরও ছ'জন সদস্য থাকবেন এই বোর্ডে। তার মধ্যে তিনজনই সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। উল্লেখ্য, শেষবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড গঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে।
মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এদিকে এই হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে। তারপরেই সেনাকে প্রত্যাঘাতের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন।
মঙ্গলবার সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পর বুধবারই নতুন করে ঢেলে সাজানো হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড। দীর্ঘ সাত বছর পরে এই বোর্ডে রদবদল হল, তাও পহেলগাঁও হামলার ঠিক পরেই। বিশ্লেষকমহলের অনুমান, ভারতের প্রত্যাঘাতের পালটা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের 'বন্ধু' বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।
জানা গিয়েছে, এই বোর্ডে থাকবেন প্রাক্তন ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডার এয়ার মার্শাল পিএম সিনহা, প্রাক্তন সাদার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং প্রাক্তন রেয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না। এছাড়াও প্রাক্তন আইপিএস রাজীব রঞ্জন ভার্মা এবং মনমোহন সিং থাকবেন এই বোর্ড। প্রাক্তন আইএফএস বি ভেঙ্কটেশ ভার্মাকেও বোর্ডে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে গঠিত হওয়া এই বোর্ডের দায়িত্ব হল নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া। পহেলগাঁও হামলার পরে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে কী পদক্ষেপ করবে নতুন বোর্ড?
