সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটপ্রচারের মাঝেই মেজাজ হারালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বুধবার তাঁর সভার মাঝেই স্লোগান উঠল ‘লালু জিন্দাবাদ’। আর তা শুনে নিজের বক্তৃতা থামিয়ে উপস্থিত জনতাকে রীতিমতো ধমকের সুরে চুপ করান জেডিইউ নেতা।
২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তাই এদিন বিহারের সরণ জেলার পারসা বিধানসভা ক্ষেত্রের ডেরনিতে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন নেতা চন্দ্রিকা রাই। তিনি এবার ওই আসন থেকে জেডিইউ-র প্রার্থী। তাঁর হয়ে ভোটপ্রচার করছিলেন নীতীশ। তাঁর বক্তৃতা চলাকালীন সমাবেশের মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে ‘লালু জিন্দাবাদ’। আর তাতেই বেজায় চটে যান নীতীশ।
[আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে বড় ধাক্কা বিজেপির, দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে দুষে দল ছাড়লেন একনাথ খাডসে]
মাঝপথেই বক্তৃতা থামিয়ে দেন। উপস্থিতি দর্শকদের জিজ্ঞেস করেন “কারা কী বলছিলেন, এবার হাত ওঠান।” ফের সমাবেশে চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ধমকের সুরে তাঁদের চুপ করতে বলেন নীতীশ। বলেন, “এখানে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করবেন না। যদি ভোট না দিতে চান, দেবেন না। কিন্তু এ ভাবে হল্লা করা কি ঠিক?এ রকম শিশুসুলভ আচরণ করবেন না।” তবে ভোটপ্রচারের মাঝে এমন বিড়ম্বনায় পড়ে কার্যত বিরক্ত জেডিইউ প্রধান।
[আরও পড়ুন : উৎসবের মুখে সুখবর, আর্থিক সংকটের মধ্যেও বোনাস পাবেন কেন্দ্র সরকারের ৩০ লক্ষ কর্মী]
এদিকে নীতীশকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের এটাই শেষবার। এবার বিহারে বদলের পালা। দিন কয়েক ধরে এলজেপিকে বিজেপির বি টিম বলা হচ্ছিল। সে প্রসঙ্গে এদিন চিরাগ বলেন, “এলজেপি বিজেপির বি টিম নয়। নির্বাচনের পরও নীতীশের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।”