সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষার অধিকার সকলের সমান। কাউকেই বঞ্চিত করা যায় না। কোনও শিশুকে তো একদমই নয়। রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার আর্জি নিয়ে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, আধার কার্ড ও নাগরিকত্বের প্রমাণ না থাকলেও ওই শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে, সে ব্যাপারে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী রোহিঙ্গারা বর্তমানে কোথায় আছে, তারা কোন দেশের নাগরিক তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পায় সে বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইট এবিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সংস্থার আইনজীবী কোলিন গঞ্জালভেস দিল্লির শাহীনবাগ, কালিন্দী কুঞ্জ এবং খেজুরি খাসে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করেন। তখন তাঁদের ভারতে বসবাসের বৈধ নথিপত্র আছে কি না, তা জানতে চান বিচারপতি। এপ্রসঙ্গে আইনজীবী গঞ্জালভেস রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রসংঘের (ইউএনএইচসিআর) শরণার্থী কার্ড থাকার কথা জানান।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি জানায়, আধার কার্ড না থাকায় রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন পাবলিক স্কুল এবং হাসপাতালে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সংস্থাটি। তারা আরও জানায় যে, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি এবং স্নাতকসহ সমস্ত পরীক্ষায় যাতে অংশগ্রহণের অনুমতি পায় সেবিষয়েও জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরিষেবা সহ অন্তোদয় অন্ন যোজনা প্রকল্পের অধীনে ভর্তুকি সহ অন্যান্য নাগরিকদের মতো রোহিঙ্গা পরিবারগুলিও যাতে সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায় সেবিষয়েও দাবি জানিয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাও রোহিঙ্গাদের প্রতি বৈষম্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন। ১০ দিন পর মামলাটির পরবর্তী শুনানি।
