সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়েছে, সেটা আপাতত চলবে। নতুন করে পাকিস্তানের ডিজিএমওর সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা বা বৈঠক করবেন না ভারতের ডিজিএমও। জানিয়ে দেওয়া হল সেনার তরফে।
গত ১২ মে শেষবার পাকিস্তানের ডিজিএমওর সঙ্গে কথা হয় ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইয়ের। সেদিন দুপক্ষের আলোচনায় সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। মনে করা হচ্ছিল, রবিবার হয়তো ফের দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে। তবে ভারতীয় সেনা জানিয়ে দিল, রবিবার নতুন করে আলোচনার কিছু নেই। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলবে। ১২ মে আলোচনাতেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, এই সংঘর্ষবিরতির নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়নি। আপাত দুপক্ষের কেউই এই চুক্তি লঙ্ঘন করবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হিয়েছিল ২৬ জনের। এই হামলায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল পাকিস্তানের। হামলার দায়ও নেয় লস্কর ই তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এই অবস্থায় পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘরে হামলা চালায় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গিদের হেড কোয়ার্টার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেনা ও আইএসআই লালন করছিল এই সন্ত্রাসের কারখানা। সেই ঘটনার পর পাকিস্তানের হামলা ও পালটা হামলার পর বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে দুই দেশের মধ্যে।
গত ১০ মে এই সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। এরপর ১২মে ফের কথা হয় তাঁদের। সেদিনের আলোচনা মতো আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে। যদিও সংঘর্ষবিরতি শুরুর পরও তা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। সেই সময় ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরও জানান, পাকিস্তান চুক্তিভঙ্গ করতে থাকলে এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত।
