shono
Advertisement
Kerala Doctors

নিরাপদ তো? 'ভিভিআইপি' ধনকড়ের খাবার পরীক্ষায় কেরলের চিকিৎসকরা, তীব্র প্রতিবাদ

বিতর্কে মুখ খুলেছে কেরলের চিকিৎসক সংগঠন।
Published By: Kishore GhoshPosted: 08:06 PM Jul 08, 2025Updated: 08:39 PM Jul 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এরনাকুলমে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সফর চলাকালীন তিন চিকিৎসককে 'খাদ্য পরীক্ষক' হিসাবে নিয়োগ করেছে কেরল সরকার। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেলে পড়লেন রাজ্যের চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, ভিভিআইপি-র খাবার পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ নেন না। গোটা ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে বাম শাসিত রাজ্যটিতে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক, পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে সরকারি অতিথিশালার রান্নাঘরে যেতে বাধ্য করা হয় এক চিকিৎসককে। দক্ষিণের রাজ্যে সফর চলাকালীন ওই অতিথিশালাতেই ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। এই ঘটনাকে 'অপমানজনক' বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। কেরল গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (কেজিএমওএ) জানিয়েছে, প্রতিবাদে স্বারকলিপি দেবে তারা। খাদ্য পরীক্ষার দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ডাক্তারদের খাদ্য পরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হল, তার ব্যাখ্যা চাইবে চিকিৎসক সংগঠন।

চিকিৎসক সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "একদিন আগে উপরাষ্ট্রপতি যখন জেলা পরিদর্শন করেন, তখন তিনজন ডাক্তার - এরনাকুলাম জেনারেল হাসপাতালের আরএমও, কোডানাড ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের একজন চিকিৎসক এবং আলুভা জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসককে খাদ্য পরীক্ষক হিসাবে নিয়োগের আদেশ পাই আমরা। জানি না কীভাবে আমাদের (চিকিৎসকদের) খাদ্য পরীক্ষার কাজে নিয়োগ করা যেতে পারে, কারণ আমাদের তো এর কোনও যোগ্যতা নেই।"

কেজিএমওএ-র বক্তব্য, এমনিতেই রাজ্যে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তার মধ্যে খামখেয়ালি সরকারি আদেশ অস্বস্তি বাড়ার পক্ষে যথেষ্ট। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে, খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করে থাকে, যেহেতু তারা এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত। চিকিৎসকদের এই বিষয়ে কোনও যোগ্যতা নেই। এই কারণেই সরকারি নির্দেশিকায় ফুঁসছেন দক্ষিণের রাজ্যের চিকিৎসকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কেজিএমওএ-র বক্তব্য, রাজ্যে চিকিৎসকদের এমনিতেই অভাব রয়েছে।
  • পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে সরকারি অতিথিশালার রান্নাঘরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল এক চিকিৎসককে।
Advertisement