সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে, ততই ভয়ংকর আকার ধারণ করছে দিল্লির দূষণ। শনিবার সকাল থেকেই নয়ডার রাস্তা ঢেকে গিয়েছিল ঘন ধোঁয়াশায়। কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আর তার জেরে একের পর এক গাড়ির মধ্যে ধাক্কা লেগে জখম বেশ কয়েকজন। তারপর থেকে সেই রাস্তায় জ্যাম ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থেকেছে। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, নয়ডা সেক্টর-১২৫-এ একিউআই ছিল ৪৪৯। যা 'অত্যন্ত খারাপ' পর্যায়ে ছিল।
গ্রেটার নয়ডায় ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে বা কুন্ডলি-গাজিয়াবাদ-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে দিয়ে ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ছয় লেনের প্রশস্ত একটি এক্সপ্রেসওয়ে চলে গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে কীভাবে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে প্রবল জ্যাম।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি কোভিডের সঙ্গে তুলনীয়! দীপাবলির পর সময় পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি আর স্বাভাবিক হয়নি।
এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। এমনকী, রাস্তায় জল ছিটিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু যতই চেষ্টা হোক, পরিস্থিতি যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। গতকাল, শুক্রবার লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে সরকার ও বিরোধী, সব পক্ষের মধ্যেই আলোচনা হোক। সেই প্রস্তাবে সাড়াও দিয়েছে কেন্দ্র। আশা, শীতকালীন অধিবেশনেই এই নিয়ে আলোচনা হবে সংসদে।
