সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীর ভ্রমণে আগ্রহ কমেছে দেশবাসীর। ভরা মরশুমে কার্যত মাছি মারার দশা উপত্যকার পর্যটনের। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে অতীতের সুদিন ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার। চিরাচরিত ধারা ভেঙে পর্যটকদের আস্থা ফেরাতে, সচিবালয় নয়, মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন পহেলগাঁওয়ের রিসর্টে।
গত ২২ এপ্রিল ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। যার বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। সেই হামলার পালটা ৬-৭ এপ্রিল ভারতের অপারেশন সিঁদুর গুঁড়িয়ে দেয় পাকভূমে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়ায় দুই দেশ। পালটা কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত বেপরোয়া ড্রোন হামলা শুরু করে পাক সেনা। একে সন্ত্রাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে দুই দেশের এই সংঘাতের জেরে শিকেয় কাশ্মীরের পর্যটন। ভরা মরশুমে পর্যটক না আসায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা।
গুরুতর এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের আস্থা ফেরাতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সিদ্ধান্ত নেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক শ্রীনগর বা জম্মুর সচিবালয়ের পরিবর্তে কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্রগুলির রিসর্টে গিয়ে এই বৈঠক করবেন তিনি। সেইমতো মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে মন্ত্রিসভার রিসর্টে বৈঠক করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী ওমরকে। সেখানে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন উপত্যকার পুলিশ আধিকারিক ও মুখ্যসচিব। পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এছাড়া বুধবারও একটি বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে কাশ্মীরের গুলমার্গে।
অভিনব এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, "আমরাই যদি ওখানে না যায় তাহলে কে যাবে? এই বৈঠকের মূলত দুটি লক্ষ্য। প্রথমত, আমরা ওই অঞ্চলে গিয়ে ওখানকার বাস্তবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হব। এবং দ্বিতীয়ত স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের মধ্যে আস্থা ফেরাব।" উল্লেখ্য, এর আগে নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওমর আর্জি জানিয়েছিলেন মানুষের মন থেকে যাতে কাশ্মীর নিয়ে ভয় দূর হয় তার জন্য সরকার উদ্যোগ নিক।
