সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বভাব যায় না ম'লে! বহু পুরনো প্রবাদকে সত্যি করে ফের সীমান্তে গুলি চালাল পাকিস্তান (Pakistan)। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা লক্ষ্য করে ফের গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। জম্মুকে নিশানা করে চলছে গুলি। ব্ল্যাকআউট করা হয়েছে গোটা জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থানের একাধিক এলাকায়। উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু সওয়া আটটা থেকে ফের গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। এহেন কাণ্ডে হতবাক হয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
শনিবার সন্ধ্যায় বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানিয়ে দেন, দুপুর ৩টে ৩৫ নাগাদ সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে পাকিস্তান ফোনে যোগাযোগ করে। এরপর ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ করেছে। আগামী ১২ মে ফের সামরিক প্রধানরা বৈঠক করবেন। ওইদিনই পরবর্তী পদক্ষেপ জানা যাবে। কিন্তু এই ঘোষণার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফের নিয়ন্ত্রণরেখা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ পাক সেনার।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উধমপুরে পাক ড্রোন হামলা আটকছে ভারত। এছাড়াও শ্রীনগর, জম্মুর একাধিক জায়গায় গুলি এবং বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে। রাজস্থানের বারমের, জয়সলমের এবং পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাও। সংঘর্ষবিরতি শুরুর মাত্র সওয়া তিন ঘণ্টার মধ্যে পাক সেনার এমন নির্লজ্জ আচরণে স্তম্ভিত জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে ওমর লেখেন, 'সংঘর্ষবিরতির কী হল? গোটা শ্রীনগরজুড়ে তো বিস্ফোরণের আওয়াজ পাচ্ছি।' জানা গিয়েছে, পাক হামলার পালটা দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও।
প্রশ্ন উঠছে, সংঘর্ষবিরতির (Ceasefire) কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন এভাবে হামলা করল পাক সেনা? বিশ্লেষকদের মতে, এর নেপথ্যে তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, পাকিস্তান সেনার শীর্ষ দপ্তর থেকে সীমান্তে মোতায়েন থাকা সেনার কাছে সঠিক নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তাই গত কয়েকদিনের মতো শনিবারও অন্ধকার নামতেই গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। দ্বিতীয়ত, পাক সরকারের নির্দেশ মানতে নারাজ সেনা। তাই সংঘর্ষ বিরতি উড়িয়ে দিয়ে ভারতের উপরে হামলা করছে তারা। তৃতীয়ত, পাক সেনার একাংশ চায় যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে, সম্ভবত নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে। সেই অংশের নির্দেশেই শনিবার সীমান্তে গুলি চালিয়েছে পাক সেনা।
