shono
Advertisement

‘ধর্মের নামে কেউ বঞ্চিত হবে না’, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রথমবার AMU-এর অনুষ্ঠানে গিয়ে 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস' শ্লোগান তুললেন মোদি।
Posted: 11:53 AM Dec 22, 2020Updated: 11:53 AM Dec 22, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী (Lal Bahadur Shastri)। সেটা ১৯৬৪ সাল। তারপর গত সাড়ে পাঁচ দশকের মধ্যে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এএমইউয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। AMU-এর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আরও একবার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ শ্লোগান তুললেন মোদি। বলে দিলেন, ভারত আজ এমন এক রাস্তায় চলছে, যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিভেদ নেই।

Advertisement

AMU-এর ভাষণে মোদি বললেন, “ভারতের শক্তি, সৌন্দর্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রদের কাছে তুলে ধরাটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। আপনাদের কাঁধে জোড়া দায়িত্ব। নিজেদের সম্মান বাড়ানো এবং দেশের প্রতি নিজেদের কর্তব্য পালন। দেশের সমৃদ্ধির জন্য সব স্তরে উন্নতি হওয়া বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক নাগরিকের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে ভাগীদার হওয়া উচিত। দেশ এমন একটা রাস্তায় এগোচ্ছে, যেখানে সব নাগরিক নিজের সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিন্ত। আজ শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও নাগরিককে বঞ্চিত করা হয় না। এটাই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মতবাদের ভিত্তি।” প্রধানমন্ত্রী বললেন, সরকার গরিবদের জন্য যে প্রকল্পগুলি গ্রহণ করছে সেগুলি কোনও ধর্মের ভিত্তিতে দেওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন, উজ্বলা যোজনার গ্যাস সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন। করোনার সময় সরকারের দেওয়া খাদ্যশস্য সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন।

[আরও পড়ুন: বড়দিনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় মোদি! বিলি করবেন ১৮ হাজার কোটি টাকা]

মোদির দাবি, “মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার জন্য বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। গত ৬ বছরে ১ কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “স্বচ্ছ ভারত যোজনার আওতায় সব স্কুল-কলেজে নতুন টয়লেট তৈরি হওয়ায় মুসলিম মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে।” প্রধানমন্ত্রী ভাষণে এদিন উঠে আসে তিন তালাক প্রথার কথাও। তাঁর দাবি, ১০০ বছর আগে এএমইউয়ের (Aligarh Muslim University) হাত ধরে যে আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল, তিন তালাক প্রথা বাতিল করে এই সরকার সেই সংকল্পকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।” বস্তুত এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আগাগোড়ায় মুসলিমদের প্রতি নিজের একাত্মতা জাহির করার চেষ্টা করলেন। সেই সঙ্গে তাঁর সরকার যে সত্যিই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশে’র মাধ্যমে ‘সবকা বিশ্বাস’ অর্জন করতে চায়, সেটাও বোঝাতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। সতর্ক করে বললেন, নতুন ভারতের উন্নতিতে কিছু শক্তি বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বললেন, ধর্ম সমাজের একটা অংশ, কিন্তু একমাত্র অংশ নয়। রাজনীতি অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু উন্নয়ন নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement