সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহ হয়েছে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সোমবার বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তিনি। আগামী দিনে ভারত-আমেরিকার গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও মজবুত করা নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি নিজেই আজ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন মোদি। তিনি লেখেন, 'আজ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলে আমি উচ্ছ্বসিত। দ্বিতীয়বার ঐতিহাসিক জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। আমরা পারস্পরিক উপকার ও বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের দেশের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্ব শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে আগামী দিনেও একসঙ্গে কাজ করব।'
গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। প্রশ্ন উঠেছিল, কেন বন্ধুর শপথে নেই মোদি? কিন্তু সেই প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল আগামী ফেব্রুয়ারিতেই মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প ও মোদি। ওয়াশিংটনে তাঁদের একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন দুদেশের কূটনীতিকরা।
যদি ট্রাম্প ও মোদির বৈঠক হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই সেদিকে নজর থাকবে সকলের। কেননা মার্কিন প্রশাসনে পালা বদলের এই মুহূর্তে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম ইস্যু শুল্ক। গত ডিসেম্বরেই ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন ডলার ব্যবহার না করলেই ১০০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর উপরে।
প্রসঙ্গত, ৯ সদস্যের ব্রিকসে রয়েছে ভারতও। ফলে সেই পরিপ্রেক্ষিতে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের এই বিষয়ে কথা হতে পারে। জানা যাচ্ছে, ভারত এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমেরিকাকে বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা জানাবে। যার মধ্যে অন্যতম ভারতে মার্কিন বিনিয়োগ। এদিকে ব্রিকসের সদস্য হলেও বন্ধু ভারতকে আরও কাছে টানতে তৎপর ট্রাম্প। আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্য কেউ নয়, এশিয়ার ভরকেন্দ্র আসলে ভারত।
