সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন জ্যোতি মালহোত্রার ঘনিষ্ঠ জসবীর সিং। তাঁর মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা করে এবার তদন্তকারীদের হাতে এল বহু গোপন তথ্য। জানা যাচ্ছে, অন্তত ১৫০ জন পাকিস্তানির ফোন নম্বর সেভ ছিল জসবীরের ফোনে। শুধু তাই নয়, পাক সফরের সময়ে আইএসআইকে নিজের ল্যাপটপও দেন অভিযুক্ত।
গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ভারতের গদ্দারদের পাকড়াও করতে কোমর বেঁধে নামেন দেশের গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তার করা হয় হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের। সেই সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয় জসবীরকেও। তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, জসবীরের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর শাকির ওরফে জঠ রান্ধাবার যোগাযোগ ছিল। পাশাপাশি জ্যোতির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, পাক দূতাবাসের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই দেশছাড়া করেছে ভারত সরকার। দানিশের আমন্ত্রণে পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জসবীর। সেখানে পাক সেনা ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন।
তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, ২০২০, ২১ ও ২০২৪ সালে মোট ৬ দফায় পাকিস্তান যান জসবীর। পুলিশ অভিযুক্তের মোবাইল-সহ অন্যান্য ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে। যেখানে তাঁর পাকযোগের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, জ্যোতির গ্রেপ্তার পর তাঁর সঙ্গে নিজের সমস্ত কথোপকথন মোবাইল থেকে ডিলিট করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত জসবীর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে জ্যোতির মতোই দানিশের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল জসবীরের। তাঁর এক মহিলা বন্ধু দানিশের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। এরপর দানিশ তাঁর জন্য বেশ কিছু সিমকার্ডের অর্ডার দেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি ইউটিউবার নাসির ধিলন যিনি আগে পাক পুলিশকর্মী ছিলেন তাঁর সূত্রে পাকিস্তানের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় জসবীর। এই সমস্ত রহস্য সমাধানে কোমর বেঁধে নেমেছেন তদন্তকারীরা। আর কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে শনিবার জসবীরের তিন দিনের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে পুলিশ ৭ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে পেতে চাইলে দু'দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত।
