সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানড়ের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সিপিআই প্রার্থী সত্যন মকেরিকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩১ ভোটে হারিয়ে দেন কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু গত নভেম্বরে প্রিয়াঙ্কার সেই জয় নিয়েই উঠল প্রশ্ন। তাঁর বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা নব্য হরিদাস। তিনিও ওই নির্বাচনে একজন প্রার্থী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগে নিজের সম্পত্তির ঘোষণার সময় তথ্য গোপন করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাই তাঁর সেই জয়কে অবৈধ ঘোষণা করার আর্জি হরিদাসের। আর এই পরিস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কাকে সমন পাঠাল উচ্চ আদালত।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী রায়বরেলি ও ওয়ানড়– দুটি আসন থেকেই ভোটে লড়েন। দুই আসনেই বিশাল ব্যবধানে জয় পান তিনি। মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি রেখে ওয়ানড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে যাওয়া সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা। ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয় কংগ্রেসেরই ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী সিপিআই। প্রিয়াঙ্কার মূল লড়াই ছিল বামপন্থী দলটির সঙ্গেই। শেষপর্যন্ত বিপুল ভোটে জিতে যান তিনি।
কিন্তু কেরল হাই কোর্টে বিচারপতি কে বাবুর বেঞ্চে হরিদাসের দাবি, ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রিয়াঙ্কা সম্পত্তির ঘোষণা করতে গিয়ে তথ্য গোপন করেছেন। স্বামী রবার্ট ভঢরার অস্থাবর সম্পত্তি ও বেশ কিছু বিনিয়োগের কথা জানাননি। তাই ওয়ানড়ের উপনির্বাচনকে 'বাতিল' করতে হবে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, সম্পত্তির সম্পূর্ণ ঘোষণা না করে প্রিয়াঙ্কা ওই কেন্দ্রের ভোটারদের উপর অযাচিত প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। কংগ্রেস অবশ্য এহেন অভিযোগের সমালোচনা করেছে। পুরো বিষয়টিকেই 'সস্তার রাজনীতি' বলে কটাক্ষ করেছে। আগামী আগস্টে ওই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বহুদিন ধরেই। কিন্তু ভোটে লড়াইয়ে সোনিয়াকন্যার আগমন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জল্পনা-কল্পনা চলেছে। যে কোনও বড় নির্বাচন এলেই ভেসে ওঠে তাঁর নাম। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়েও জল্পনা ছিল। যদিও শেষপর্যন্ত প্রিয়াঙ্কাকে সেই কঠিন লড়াইয়ে ফেলেনি দল। অবশেষে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ওয়ানড় কেন্দ্র থেকে লড়েন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু এবার সেই জয় নিয়েই উঠল অভিযোগ।
