সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে পাক ড্রোন হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। তিনদিন পর মঙ্গলবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হল। পাকিস্তানের আক্রমণে জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর খবর সামনে এল।
বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার নাম সুখবিন্দর কৌর। তিনি ফিরোজপুরের খাই ফেমেকি গ্রামের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার একটি পাক ড্রোন তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা খায়। তারপরই গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। সুখবিন্দর ছাড়াও গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্বামী লখবিন্দর সিং এবং লখবিন্দরের স্বামী মনু সিং। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে লুধিয়ানার একটি হাসপাতালে ভর্তি কারানো হয়। ঘটনার তিনদিন পর মঙ্গলবার সকালে সুখবিন্দরের মৃত্যু হল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল। বাকি দু’জন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
সুখবিন্দর কউর। ছবি: সংগৃহীত।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। পালটা ৭ মে অপরেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই অভিযানে অন্তত ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এরপর রাজস্থান, পাঞ্জাবের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। পালটা লাহোর, করাচি-সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরে আঘাত হানে ভারত। শেষ পর্যন্ত গত শনিবার ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে লাগাতার পিছিয়ে পড়ছিল পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই সন্ধিপ্রস্তাব করে শাহবাজ শরিফ সরকার।
