সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের পরই সীমান্তে পালটা লড়াই শুরু করে পাকিস্তান। কিন্তু পাক সেনার বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা গেলেও পড়শি দেশের গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সীমান্তের বেশ কিছু অঞ্চল। মৃত্যু হয় সাধারণ মানুষেরও। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত সেই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম কাশ্মীরের মাটিতে পা রাখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল জঙ্গি হামলায় আহতদের দেখতে শ্রীনগরে গিয়েছিলেন রাহুল।
রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'পাক গোলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে আজ আমি দেখা করেছি। প্রিয়জনদের হারানোর বেদনা এখনও তাদের চোখের কোণে লেগে রয়েছে। পড়শি দেশের আক্রমণে পুঞ্চে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। তাঁদের দাবিগুলি আমি অবশ্যই জাতীয় স্তরে উত্থাপন করব।'
জম্মু ও কাশ্মীরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ রানা তাঁকে স্বাগত জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'পুঞ্চে আসছেন রাহুল। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। এই কঠিন সময়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।'
শুক্রবারই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা কংগ্রেস সাংসদের কাশ্মীরে আসার বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, "পুঞ্চে আসছেন রাহুল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করবেন। তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলও এখানে এসেছিলেন। এই কঠিন সময়ে তাঁরা এই মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।"
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোররাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুঞ্চ। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।