সুব্রত বিশ্বাস: দেশের ৬৩৫টি রেলওয়ে স্টেশনকে ‘রি-ডেভলেপমেন্ট’ করা হবে। স্টেশনগুলি কেমন করে গড়ে তোলা হবে এজন্য আন্তর্জাতিক স্তরের ৫৪টা বেসরকারি সংস্থার ১১০ জন আর্কিটেক্টের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। স্টেশনের এই আধুনিকীকরণ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শ্রীজন’। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াও পোর্টাল লঞ্চ করেও নেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভলপমেন্ট কর্পোরশন লিমিটেড সংস্থার মাধ্যমে এই রি-ডেভলেপমেন্টের কাজ হবে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে।
[ট্রেনে ঝুলন্ত দেহ, জিআরপিকে খবর না দিয়ে স্টেশনেই মৃতকে ফেলে দিলেন গার্ড]
কেমন ডিজাইন হবে এই স্টেশনগুলির তার প্রাথমিক পরিকাঠামো যাচাই করতে তিনটি স্টেশনের উপর ডিজাইন প্রতিযোগিতারও আয়োজন হয়। স্টেশনগুলি নাগপুর, গোয়ালিয়র এবং কর্ণাটকের বাইয়াপ্পানহিল্লি। প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে উঠে আসা ১১ জন আর্কিটেক্টকে ৭৪টা স্টেশনের ডিজাইনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রেলবোর্ড অবশ্য এজন্য এক নীতি নির্ধারণ করে সংস্থাগুলিকে জানিয়েছে, খরচ কমিয়ে মানুষের কাছে দৃশ্যত মনোরম করে তুলতে হবে স্টেশনগুলিকে। রেল এই উন্নয়ন ঘটাতে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (আইআরএসডিসিএল) যে কর্পোরেট সংস্থা তৈরি করছে তার উপযুক্ত ‘লোগো’-র সন্ধান চালাচ্ছে। এজন্য ‘mygov’ নামে এক সাইট খুলে লোগোর ডিজাইন চেয়েছে। সর্বোচ্চ পছন্দের লোগো নির্মাতাকে ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে। ‘ট্যাগলাইন’ প্রস্তুতে পছন্দের ডিজাইনারকে ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে।
[ফের নোট বাতিলের পথে মোদি সরকার! কী বলছে কেন্দ্র?]
যদিও এই প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান রেলকর্তারাই। লালু যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন হাজিপুরে ছিলেন প্রথম শ্রেণির এক রেলকর্তার কথায়, একই পদ্ধতি ঘোষিত হয়েছিল লালু যাদবের সময়। ‘ওয়ার্ল্ডক্লাস স্টেশন’। এবার ‘শ্রীজন’। অসংখ্য সংস্থা সে সময় কয়েকশো কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে ডিজাইন জমা দিয়ে। পাটনা স্টেশনটির ডিজাইনের জন্য তখন আন্তর্জাতিক মানের একটি সংস্থা ৫ কোটি টাকা বিল পাঠায়। সরকার পরিবর্তন হলে প্রকল্প যায় আরব সাগরের জলে। অন্য সরকার এসে পার্টি ফান্ডের অর্থের জন্য ঘোষণা করে নতুন প্রকল্প চলে তাঁর মতো।
[গুগলে এই চারটি শব্দ লিখলেই মিলছে আধারের তথ্য, শিকেয় নিরাপত্তা]
The post পরিষেবা বাড়াতে নয়া মডেলের স্টেশনের ভাবনা রেলের appeared first on Sangbad Pratidin.