সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামী যৌন সম্পর্ক ‘অস্বাভাবিক অপরাধ’। সদ্য প্রকাশিত স্নাতক স্তরের ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য জাতীয় চিকিৎসা কমিশনের (এনএমসি) প্রবর্তিত পাঠ্য বইয়ের নয়া ও সর্বশেষ সংস্করণে এমনই লেখা হয়েছে। বইতে আলোচনা হয়েছে যৌন বিকৃতি এবং ফেটিশিজম নিয়েও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও কমিশনের দাবি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশ্বব্যাপী পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই পাঠ্যপুস্তকে এই বদল আনা হয়েছে।
বিতর্কের শুরু ‘অস্বাভাবিক অপরাধ’-এর তালিকায় যৌন বিকৃতি, ফেটিশিজম এবং মৃতদেহের প্রতি যৌন আকর্ষণের (নেক্রোফিলিয়া) পাশাপাশি সমকামী যৌন সম্পর্ককে রাখায়। তবে, সম্পূর্ণ বাদ গিয়েছে দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্মতিমূলক সমকামী সম্পর্কের বিষয়টি। অর্থাৎ, ডাক্তারি পড়ুয়াদের নয়া বই বলছে, দুই সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কও অস্বাভাবিক অপরাধের শামিল! এনএমসির নয়া পাঠ্যক্রম নির্দেশিকায় দাবি করা হয়েছে, ‘‘ভারতের জনমানস, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটকে বোঝা এবং সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধ তথা সার্বিক শিক্ষাই এই পাঠ্যক্রমের উদ্দেশ্য।’’
[আরও পড়ুন: ‘দেশের ন্যক্কারজনক ঘটনায় কেন্দ্রের পুরস্কার ফেরাবেন তো?’, শিল্পীদের প্রশ্ন ব্রাত্য বসুর]
যদিও এ সব যুক্তি মানছেন না সমালোচকরা। তাঁরা বলছেন, এ ধরনের লেখা প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ আরও উস্কে দেবে। নয়া পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের পরেই তাই নানা মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সরব হয়েছেন কুইয়্যার অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। এই সংশোধনগুলি হয়েছে স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের ফরেনসিক মেডিসিন এবং টক্সিকোলজির পাঠ্যপুস্তকে। ২০২২ সালে মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশে এই বিষয়গুলি পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
