মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: বছর শেষেও নিরাপত্তাবাহিনী-সন্ত্রাসবাদীর গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে মধ্য কাশ্মীরে (Kashmir) শুরু হওয়া এনকাউন্টারে (Encounter) খতম এক জেহাদি। তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।
জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে মধ্য কাশ্মীরের শ্রীনগর জেলার হোকাসার এলাকায় হানা দেয় যৌথবাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে জেহাদিরা। জবাব দেয় বাহিনীর জওয়ানরাও। তাদের ছোড়া গুলিতে এক সন্ত্রাসবাদী খতম হয়। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে ঘন কুয়াশা ও অন্ধকার থাকায় অভিযান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
[আরও পড়ুন : এখনও সভাপতি পদে ফেরা নিয়ে সংশয়ে রাহুল গান্ধী! ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করে ফেলল কংগ্রেস]
পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, রাতে অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল। কারণ ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারে অভিযান চালালে কোল্যাটেরাল ড্যামেজ বাড়তে পারত। তবে এই সুযোগে যাতে কোনও জেহাদি পালিয়ে না যায়, সে কথা মাথায় রেখে কড়া নিরপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছিল যৌথবাহিনীর জওয়ানরা। বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় তল্লাশি। এক অজ্ঞাতপরিচয় জেহাদির দেহ উদ্ধার হয়।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় আরও সন্ত্রাসবাদী (Militant) লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে। তাই এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চলছে। সবমিলিয়ে বছর শেষেও জঙ্গি দমনে সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বছরভর একাধিক বড় নাশকতার ছক বানচাল করেছে যৌথবাহিনী। খতম করেছে শীর্ষ কম্যান্ডারদের। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়ান্ত্রও।
[আরও পড়ুন : আলোচনায় কাজ হয়নি, সীমান্তে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন! স্বীকারোক্তি রাজনাথের]
জম্মু কাশ্মীর পুলিশের দাবি, যৌথবাহিনীর তৎপরতায় একাধিক নাশকতার ছক বানচাল হয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র, অর্থ জোগানোর রাস্তাও বন্ধ করা গিয়েছে। তবে চলতি বছরে টহলদারি বাহিনীর উপর অতর্কিতে একাধিক হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সেই হামলায় শহিদদ হয়েছেন বহু জওয়ান।