সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উষ্ণায়ন বাড়ন্ত। বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। তবু হুঁশ নেই মানুষের! এমন দিনে বনাঞ্চলের ধ্বংসের মামলায় সুপ্রিম কোর্চের পর্যবেক্ষণ, "বিপুল গাছ কেটে ফেলা মানুষ খুনের চেয়েও বড় অপরাধ! নির্বিচারে বনাঞ্চল ধ্বংস মানবসভ্যতাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।" এই অবস্থায় একটি গাছপিছু এক লক্ষ করে টাকা জরিমানা করল সর্বোচ্চ আদালত।

সাধারণ এলাকা নয়, বর্তমান মামলায় সংরক্ষিত এলাকার প্রায় সাড়ে চারশো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ। আগ্রার তাজমহলের কাছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার স্কোয়্যার কিমি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে 'তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন'। তাজমহলকে দূষণ থেকে রক্ষা করে এখানকার সবুজ। সম্প্রতি নির্বিচারে সেই এলাকার ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলেছেন শিবশঙ্কর আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তি! তাঁর বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ, ৪৫৪টি গাছ থেকে পরিবেশের যে মঙ্গল হত, তা পুনরুদ্ধার করতে অন্তত ১০০ বছর লেগে যাবে। অথচ সেই গাছগুলি কাটার জন্য কারও অনুমতির তোয়াক্কাই করলেন না অভিযুক্ত!
এরপরই সুপ্রিম নির্দেশ, মথুরা-বৃন্দাবনে ডালমিয়া ফার্মসের ৪৫৪টি গাছ কাটার জন্য শিবশঙ্কর আগরওয়ালকে একটি গাছপিছু এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। অভিযুক্তের আইনজীবী মক্কেলের দোষ স্বীকার করেছেন। আবেদন করেন, জরিমানার অঙ্ক অত্যাধিক বেশি, তা কমানো হোক। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, সুপ্রিম নির্দেশেই ২০১৯ সালে তাজমহলকে দূষণ থেকে বাঁচাতে 'তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন' গঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, 'তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন'-এর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি নয় এমন জায়গা থেকে গাছ কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।