সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু হল এক ‘সুপার মমে’র। না, সে কোনও মানবী নয়। এক বাঘিনী (Tigress)। কিন্তু অরণ্যের বিপদে ভরা পরিবেশে একে একে ২৯টি শাবককে বড় করে তোলার অসাধ্যসাধন করে সে তার মাতৃত্বের জন্যই হয়ে উঠেছিল বিখ্যাত। অবশেষে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পেঞ্চ ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে থেমে গেল বিখ্যাত কলারওয়ালির জীবন। ষোড়শী এই বাঘিনীর মৃত্যু সংবাদ ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
তবে ঠিক কী কারণে মারা গেল সে, তা এখনও জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, বয়সজনিত কারণেই এই মৃত্যু। গত কয়েকদিন ধরেই অসুখে ভুগছিল সে। কাজ করছিল না নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। তবে মুখ্য বন আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে ময়না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বাঘিনীটির। তারপরই সঠিক কারণ বলা সম্ভব হবে।
[আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেপ্তার মূল চক্রী-সহ ২]
[আরও পড়ুন: পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি! লুট নগদ টাকা ও গয়না]
কলারওয়ালির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজেপি নেতা ড. নরোত্তম মিশ্র। রবিবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘শেষ নমস্কার ‘সুপার মম’কে। ২৯টি শাবকের জন্ম দেওয়া পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের কলারওয়ালি বাঘিনীর মৃত্যু সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। মধ্যপ্রদেশ যে ‘বাঘেদের রাজ্য’ তকমা পেয়েছে তা নিয়ে আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকবে সুপার মমের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা না বললে।’’
টি-১৫ নামেও পরিচিত ছিল মধ্যপ্রদেশের এই বাঘিনী। কিন্তু সাধারণ মানুষ কলারওয়ালি নামেই চিনত তাকে। গত শুক্রবার শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল। নালার কাছে জল খেতে এসেও রীতিমতো ধুঁকছিল সে। এমনকী সে শুয়েও পড়েছিল। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোনও চিকিৎসাই কাজে আসেনি।
২০০৫ সালে জন্ম কলারওয়ালির। শিকারের ক্ষিপ্রতা ও মাতৃত্বের মমত্ব মিলেমিশে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। পরে বিবিসির এক তথ্যচিত্রেও দেখা গিয়েছিল তাকে। স্থানীয় জনতাও তাকে চিনত। এহেন এক বাঘিনীর মৃত্যুতে তাই শোকাহত এলাকার মানুষেরা। ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া চিতায় শায়িত কলারওয়ালির ছবি দেখে অনেকেই তার আত্মার শান্তি প্রার্থনা করেছেন।