সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ত্রিপুরায় একইদিনে দুবার আক্রান্ত তৃণমূল (TMC in Tripura) সাংসদরা। সে রাজ্যের সাবলুম নন্দীগ্রাম এলাকার থাইভূম গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর একদল দুষ্কৃতী তৃণমূল সাংসদ ও নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। এরপরই এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, আক্রান্ত হয়েছেন দুই মহিলা সাংসদও। সেখান থেকে ফেরার পথে ফের তাদের উপর বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
দলীয় সূত্রে খবর, মারের চোটে সাংসদ দোলা সেনের আপ্ত সহায়কের মাথা ফেটেছে। আরেক সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের ব্যাগ, ফোন ছিনতাই করা হয়েছে বলে। চোট পেয়েছেন দোলা সেনও। ভাঙচুর হয়েছে সাংসদদের গাড়িও। তবে এখনও পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি রুখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, জানাল নবান্ন]
সাংসদ দোলা সেনের অভিযোগ, থাইভূমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করছিলেন তাঁরা। সেই সময় বিজেপি আশ্রিত প্রায় ২০০ দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। হামলায় মাথা ফেটেছে দোলা সেনের আপ্ত সহায়ক। হাতে চোট লেগেছে সাংসদেরও। এমনকী. আরেক মহিলা সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, থাইভূমেই আটকে রয়েছেন সাংসদেরা। আগরতলা থাকা বাকি তৃণমূল সাংসদেরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।
ত্রিপুুরায় তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মলয় ঘটক বলেন, “বিজেপি আমাদের ভয় পাচ্ছে। যাতে আমার নেতারা মাঠে নামতে না পারেন, তাই তাদের মারধর করা হচ্ছে।” যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি। তাঁদের কথায়, স্রেফ মিডিয়া কভারেজ পেতে নাটক করছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই ত্রিপুরা থেকে রাজ্যে ফিরে এসেছেন ব্রাত্য বসু এবং বসুন্ধরা গোস্বামী। স্বাধীনতা দিবস পালন এবং খেলা হবে দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিপুরা গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
