সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ কাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরপ্রদেশে। স্ত্রী এবং শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী এক যুবক! মৃত্যুর আগে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি একাধিক অভিযোগ এনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, “মৃত্যুর পরও আমি যদি বিচার না পাই, তাহলে আমার অস্থি নর্দমায় ভাসিয়ে দিও।”
জানা গিয়েছে, বছর তেত্রিশের ওই যুবকের নাম মোহিত যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের অরাইয়া জেলার বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। গত বৃহস্পতিবার ইটাওয়া রেল স্টেশনের কাছে একটি হোটেল থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, “এই ভিডিওটি সবাই যখন দেখবে, তখন আমি এই পৃথিবীতে থাকব না। যদি পুরুষদের জন্য আইন থাকত, তাহলে হয়তো আমি এই পদক্ষেপ করতাম না। আমার স্ত্রী এবং শ্বশুড়বাড়ির লোকজন আমার উপরে ক্রমাগত মানসিক নির্যাতন করে গিয়েছে। যা অসহনীয় হয়ে উঠেছিল।”
মোহিত এবং তাঁর স্ত্রী প্রিয়া যাদবের দীর্ঘদিনের বৈবাহিক সম্পর্ক। মেহিতের পরিবারের দাবি, প্রিয়া বিহারের একটি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার পর বদলে গিয়েছিল। এরপরই সে নাকি মোহিতের উপর মানসিক নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ।
মোহিত ভিডিওতে আরও বলেন, “আমার শাশুড়ি জোর করে প্রিয়ার গর্ভপাত করিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রিয়া আমাকে হুমকি দিয়েছে, যদি আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লিখে না দিই, তাহলে সে আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করবে। প্রিয়ার বাবা ইতিমধ্যেই পুলিশে একটি ভুয়ো মামলা দাখিল করেছে। প্রিয়ার ভাই আমাকে খুনের হুমকিও দিয়েছে। আমার পক্ষে আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।”
এরপরই মোহিত আক্ষেপের সুরে বলেন, “মৃত্যুর পরও আমি যদি বিচার না পাই, তাহলে আমার অস্থি নর্দমায় ভাসিয়ে দিও।” পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে মোহিতের স্ত্রী প্রিয়া এবং তাঁর পরিবারেরও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
