ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। দেশজুড়েই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। আজ, বুধবার সেই সমস্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। ওয়াকফ শুনানির সমস্ত খুঁটিনাটি।
বিকেল ৪.০৯: ওয়াকফ প্রতিবাদে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, এটা অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়। এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, অশান্তি তৈরি করে চাপ সৃষ্টি করা কোনও কৌশল হতে পারে না।
বিকেল ৪.০৫: এদিনের শুনানিতে কোনও অন্তর্বর্তী রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ফের শুনানি।
বিকেল ৪.০০: এদিন প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী আদেশে তিনটি বিষয় রাখার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট:
- যতদিন পর্যন্ত এই মামলা চলছে ততদিন অবধি আদালত কর্তৃক ওয়াকফ ঘোষিত সম্পত্তিকে 'ডিনোটিফাই' করা যাবে না।
- নতুন আইন মোতাবেক সরকার কর্তৃক প্রেরিত আধিকারিক যতক্ষণ না পর্যন্ত তদন্ত সম্পূর্ণ করছেন কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ ঘোষণা করা যাবে না। আপাতত আইনের এই অংশ স্থগিত রাখা হোক।
- ওয়াকফ বোর্ডে দু'জন আধিকারিক ছাড়া বাকি সদস্যদের ইসলাম ধর্মাবলম্বী হতে হবে।
বিকেল ৩.৫৮: আদালত বলল, আমাদের সামনে তিনটি উপায় আছে। এক, আমরা পিটিশন শুনব। দুই, হাই কোর্টে পাঠিয়ে দেব। তিন, হাই কোর্টে পড়ে থাকা পিটিশন আমরা গ্রহণ করে শুনানি করব। আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, হাই কোর্টের পিটিশনরদের ডাকার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্র জবাব দেবে।
দুপুর ৩.৫৭: নতুন সংশোধনীর 'ওয়াকফ বাই ইউজার' বা 'ভোগদখলকালী ওয়াকফ' নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এদিন এই অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, "১৯৪০ সাল থেকে 'ওয়াকফ বাই ইউজার' রয়েছে। সাধারণত আইনসভা কোনও আইন পাশ করলে আমরা তাতে হস্তক্ষেপ করি না। কিন্তু ব্যতিক্রম তো থাকেই।" নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। দু'সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিতে হবে কেন্দ্রকে।
দুপুর ৩.৪১: আমরা যখন সুপ্রিম কোর্টে বসি তখন কোনও ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করি না: প্রধান বিচারপতি।
দুপুর ৩. ২৪: 'সরকার নিয়ন্ত্রণ করলেই অসাংবিধানিক নয়', নতুন আইনে বলছে সুপ্রিম কোর্ট।
দুপুর ২.২৯: প্রধান বিচারপতির দু'টি প্রশ্ন। এক, আমরা কি এই মামলা শুনব নাকি হাই কোর্টে পাঠাব? দুই, কী বিষয় নিয়ে কথা বলবেন? তারপর নির্ভর করছে প্রথম প্রশ্নও। মামলাকারীদের তরফে কপিল সিব্বলের সওয়াল, "নতুন আইন অনেক ক্ষেত্রেই সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে। আমার ধর্মে কী ভাবে কেউ উত্তরাধিকারী হবে, রাষ্ট্র তা বলার কে?"
দুপুর ২.২৫: মামলার শুনানি শুরু।
দুপুর ২.১৫: মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মামলা করেছে আরজেডিও।
দুপুর ২.১০: নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। আজ তার শুনানি। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা হলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল, রাজীব দাভেন, অভিষেক মনু সিংভিরা। কেন্দ্রের তরফে রয়েছেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা।
দুপুর ২.০৫: এই আইন নিয়ে অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। অভিযোগ, ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতা বদলে যেতে চলেছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, এই সংশোধন ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতাকে খর্ব করে দিচ্ছে।
দুপুর ২.০০: ২ এপ্রিল গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। ৩ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। ৫ এপ্রিল রাতে তাতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তারপর তা আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত হয়।
