সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফিরে যাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল- প্রেমের টানে সীমান্ত পেরনো পাক যুবতীর সাফ মন্তব্য। গেম খেলতে গিয়ে ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়ে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন তিনি। ভারতে এসে হিন্দু ধর্মও গ্রহণ করেছেন। এবার ভারত (India) সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, নাগরিকত্ব দিয়ে আইনি ভাবে ভারতে বসবাসের অধিকার দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে বেআইনিভাবে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন সীমা হায়দার নামে ওই পাকিস্তানি যুবতী।
অতিমারীর সময় জনপ্রিয় অনলাইন গেম PUBG খেলতে খেলতেই মন দেওয়া-নাওয়া হয় দুই প্লেয়ারের। চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে তরুণী সীমা হায়দার পৌঁছে যান গ্রেটার নয়ডায় নিজের প্রেমিক শচীনের কাছে। তবে বেআইনি ভাবে চার সন্তানকে নিয়ে গ্রেটার নয়ডায় থাকার অভিযোগে ওই পাক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। তাঁর চার সন্তান এবং শচীনকেও আটক করা হয়। গত সপ্তাহেই জামিনে মুক্তি পান সকলে। তারপরেই একটি সাক্ষাৎকারে সীমা সাফ জানিয়েছেন, “শচীনকে ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চেয়ে আমার মরে যাওয়া ভাল।”
[আরও পড়ুন: ‘ভোট কেটে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বাম-কংগ্রেস, বাংলায় শীঘ্রই খেলা হবে’, বলছেন সুকান্ত]
পাক সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল ঘুরে ভারতে এসেছিলেন সীমা। একা নয়, সঙ্গে ছিল চার শিশু সন্তানও। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন? প্রশ্নের উত্তরে সীমা জানালেন, “অনেকদিন ধরে ইউটিউব ভিডিও দেখেছি। মাসের পর মাস কথা বলে ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা করতে হয়েছিল। তবে ভাগ্যেই লেখা ছিল যে আমরা এক হব। খুব কঠিন সফর হলেও সেটা পেরিয়ে এসেছি।” সীমার স্বামী শচীন জানিয়েছেন, “প্রথমে আমার বাবার আপত্তি ছিল। তবে পরে সকলেই মেনে নিয়েছেন।”
চার সন্তানকে নিয়েই ভারতীয় যুবক শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। আপাতত সুখে সংসার করছেন নবদম্পতি। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সীমা বলেন, “ভারত সরকারের কাছে আবেদন করছি, আমাকে যেন এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।” ভারতে আসার পরে তাঁর সন্তানরাও ভাল রয়েছে বলেই দাবি সীমার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমাকে দীর্ঘদিনের জন্য ভারতে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতেই পারে।