সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৫ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতা, অথচ মাত্র একবারের জন্য জোটসঙ্গীর নাম উচ্চারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার জয়ের প্রায় সমস্ত কৃতিত্বই দিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীদের। ধন্যবাদ জানালেন মহিলা ভোটারদের। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “মহিলাদের নিঃশব্দ ভোটই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।” বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বিজয় উৎসব পালন হয়। সেখানেই সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। সেখানে নিজের রাজ্যেই ভোট ও আসনের নিরিখে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে জেডিইউ। এমনকী, নীতীশ কুমার আদৌ মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির বিজয়োৎসবেও নীতীশ নাম প্রায় অনুচ্চারিতই রয়ে গেল। উল্লেখ্য, মঞ্চে মোদি বক্তব্য রাখতে ওঠার কয়েক মিনিট আগেই টুইট করেন জেডিইউ কর্তা নীতীশ কুমার। বিহারের জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। নির্বাচনে ফলাফল সামনে আসের পর এটাই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া। টুইটারে তিনি লেখেন, “নির্ধারক জনতাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সাহায্য করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।”
[আরও পড়ুন : ‘আমরা প্রতিশ্রুতি রাখব, নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হবেন’, যাবতীয় জল্পনায় জল ঢালল বিজেপি]
মঙ্গলবার রাত থেকে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তর অকাল দিপাবলীর চেহারা নিয়েছিল। মুখরিত হয়েছিল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ ধ্বনিতে। সেখানে ভিড় দেখে বোঝার উপায় ছিল না দিল্লিতে দৈনিক গড়ে ৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন! উপস্থিত নেতা কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখতে উঠে বিহার-জয়ের সমস্ত কৃতিত্ব জে পি নাড্ডাকেই দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, নাড্ডার রণনীতির জন্য বিহারে এই ফলাফল সম্ভব হয়েছে। মোদির কথায়, “বিজেপির উন্নয়নকার্যের পাশেই দাঁড়িয়েছে বিহারের যুবশক্তি ও মহিলারা। তাঁরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশেই আস্থা রেখেছেন।”
[আরও পড়ুন : ‘বিজেপি আপনাকে শেষ করে দেবে, মহাজোটে চলে আসুন’, নীতীশকে টোপ কংগ্রেসের]
উলটো দিকে বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “ভারতে আর পরিবারতন্ত্র চলবে না। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি ক্রমশ অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে লড়াই করতে হলে উন্নয়নের অ্যাজেন্ডা নিয়েই মাঠে নামতে হবে।” তবে নাম না করেই জোটসঙ্গী জেডিইউকেও খোঁচা দিয়েছেন মোদি। তাঁর কথায়, “বিহারে একমাত্র দল বিজেপি, যাঁরা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরও আসন বেড়েছে।”