শিলাজিৎ সরকার: শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএল অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচ খেলতে বৃহস্পতিবার বিকালেই শহর ছাড়ল লাল-হলুদ। আর দলের সঙ্গেই বেঙ্গালুরু গেলেন ‘নির্বাসিত’ আনোয়ার আলি।
দিন দুয়েক আগেই আনোয়ারের শাস্তির কথা জানা গিয়েছে। প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির রায়ে আপাতত ৪ মাস ক্লাব ফুটবলে খেলতে পারবেন না এই ডিফেন্ডার। তবে লাল-হলুদ জার্সিতে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় দলের ম্যাচ খেলে বুধবারই ক্লাবের অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন আনোয়ার। বেঙ্গালুরু যাওয়ার আগে এদিন সকালে রাজারহাটে ফেডারেশনের মাঠে অনুশীলন করে ইস্টবেঙ্গল। সেখানে দলের সঙ্গে পুরোদমেই অনুশীলন করলেন আনোয়ার।
পরে টিম হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তরুণ ডিফেন্ডারের নির্বাসন প্রসঙ্গে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলছিলেন, “আনোয়ার নিশ্চিতভাবেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। কিন্তু ওর বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। পরিস্থিতি অনুকূলে আনার চেষ্টা চলেছে। ওর মতো প্লেয়ারকে পেলে তো ভালোই হত। তবে দলে বিকল্প আছে। তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে তৈরি। আমরা কোনও অজুহাত দিতে চাই না।” আনোয়ারের পাশাপাশি দুই সাইড ব্যাক নিশু কুমার এবং প্রভাত লাকড়াও এই ম্যাচে নেই। তবে মহম্মদ রাকিপ অনুশীলনে ফেরায় রাইট ব্যাক নিয়ে ভাবনা কমবে কুয়াদ্রাতের। কারণ তিনি না খেললে কোনও রাইট ব্যাকই থাকত না ইস্টবেঙ্গল শিবিরে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী অবনীর, জার্সি উপহার দিলেন শীতল দেবী]
এদিন অনুশীলনে দীর্ঘক্ষণ সেট-পিস প্র্যাকটিসও করে ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলাররা দু’দলে ভাগ করে ফ্রি-কিক এবং কর্নার থেকে গোল করার চেষ্টা চালিয়ে যান। এক দলের উপর নজর রেখেছিলেন স্বয়ং কোচ কুয়াদ্রাত। অন্য দলের দায়িত্বে ছিলেন সবকারী দিমাস দেলগাদো। তবে সেই অনুশীলনে ‘কনভার্সন রেট’ চিন্তা বাড়াবে কুয়াদ্রাতের। যিনি আবার লাল-হলুদে ট্রেভর জেমস মর্গ্যান পরবর্তী যুগে সফলতম কোচ হিসাবে চিহ্নিত করলেন নিজেকেই। এদিন কলকাতা লিগের ম্যাচ থাকায় সহকারী কোচ বিনো জর্জ এবং ফুটবলার সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষ্ণু, জেসিন টিকে ও আমন সিকে শুক্রবার বেঙ্গালুরু যাবেন। তবে এদিন অনুশীলনের মাঝে হঠাৎ করেই ফিজিওর দ্বারস্থ হন নন্দকুমার। সবে চোট সারিয়ে মাদিহ তালাল, ক্লেটন সিলভার মতো তারকারা পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছেন। তার মধ্যেই নন্দ হাঁটুতে আইসপ্যাক বাঁধা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। লাল-হলুদ উইঙ্গার অবশ্য মাঠ ছাড়ার সময় সমর্থকদের ভরসা দিলেন। বলে গেলেন, “আমি ধাপে ধাপে ফিট হচ্ছি। চিন্তার কোনও কারণ নেই।”