সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় জেলের ভিতরই ‘বেধড়ক মারধর’ করা হল এক জঙ্গিকে। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামিক স্টেটের (ISIS) ওই সন্ত্রাসবাদী। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির তিহার জেলে। কারাবন্দি ওই জেহাদির অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করে তাকে রামনাম করতে বলা হয়।পালটা অভিযোগ, নিজেই নিজেকে আহত করেছে ওই জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালু করুন’, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় ইসলামিক স্টেটের সদস্য রশিদ জাফরকে। দিল্লি-সহ দেশের একাধিক জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করছিল ওই জঙ্গি। জেহাদি মডিউলটির নিশানায় ছিল রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি। কিন্তু জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) ও দিল্লি পুলিশের যৌথ অভিযানে জালে পড়ে যায় রশিদ ও তাঁর ৮ সঙ্গী। সেবার গোপন খবরের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের ১১টি জায়গা ও দিল্লির জাফরাবাদ ও সেলামপুরে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ফলে ভেস্তে যায় সন্ত্রাসবাদীদের পরিকল্পনা। তারপর থেকেই হাই-সিকিউরিটি তিহার জেলে রয়েছে সে। তার আইনজীবী এম এস খান দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলকে জেলে প্রচণ্ড মারধর করে অন্য বন্দিরা। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বাধ্য করা হয়। বুধবার এই বিষয়ে দিল্লির একটি আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফোনে এই অত্যাচারের কথা নিজের বাবাকে জানিয়েছে রশিদ বলেও জানান তার আইনজীবী।
উল্লেখ্য, রশিদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন যে সাধারণতন্ত্র দিবসে হামলার ছক ছিল তার। অভিযানের পর তার কাছ থেকে প্রায় ২৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। তারমধ্যে ছিল পটাশিয়াম নাইট্রেট, সালফার ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। রিমোট কন্ট্রোল খেলনা গাড়ি ও ওয়ারলেস ডোরবেল থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে বোমা তৈরির কাজ করছিল জঙ্গিরা। এছাড়া, রশিদ ও তার সঙ্গীদের কাছ থেকে ৯১টি মোবাইল ফোন, ১৩৪টি সিমকার্ড-সহ অন্যান্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়।