সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ অব্যাহত গাজায়! শনিবার ইজরায়েলের হানায় সেখানকার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে পোলিও টিকাকরণের জন্য দৈনিক ৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইজরায়েলি সেনা। তা শুরুর আগেই নতুন করে হামলায় প্রাণ হারালেন বহু মানুষ।
যতদিন যাচ্ছে আরও ভয়াবহ হচ্ছে গাজার পরিস্থিতি। লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহ। শরণার্থী শিবিরগুলোর বেহাল দশা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনও বালাই নেই। রোজকার কাজকর্ম করার জন্য পর্যাপ্ত জল নেই। এই বেহাল পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে পোলিও নিয়ে। ক্রমশ বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। যার বাড়বাড়ন্তের কারণে এবার গাজায় দৈনিক ৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইজরায়েল। শিশুদের টিকাকরণের জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় ৬ লক্ষ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও-র টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রবিবার থেকে এই টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা গাজায়। তার আগেই শনিবার ফের ভয়ংকর হামলায় কেঁপে উঠল গাজা।
[আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়ল না গোপালিকার, নতুন মুখ্যসচিবের নাম ঘোষণা করল নবান্ন]
প্রসঙ্গত, বছরখানেক ধরে হামাস নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েল। অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয়স্থানে লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তারা নানা সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। যুদ্ধ থামানোর জন্য একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। লাগাতার আক্রমণ-পালটা আক্রমণের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এখনও পণবন্দি হয়ে রয়েছেন অনেকেই।