সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাপোষা মানুষ। প্রতিবেশীরা কেউ বুঝতেই পারেননি যে তাঁর কাছে এই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা থাকতে পারে! প্রায় ১৪ হাজার কোটি কালো টাকা ঘোষণা করার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন তিনি। শেষমেশ নাটকীয়ভাবে গুজরাতের ব্যবসায়ী মহেশ শাহকে আটক করল আয়কর দফতর।
জমির কারবারি মহেশ শাহ গত কয়েক বছর পর্যন্ত নিজের বার্ষিক আয় দুই-তিন লক্ষ টাকা দেখালেও, চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে কর জমা করার সময় শাহ নিজের সম্পত্তির হিসাব দেখান প্রায় ১৩,৮৬০ কোটি টাকা৷ আর এরপরই সরকারের তরফ থেকে শাহর জরিমানা হিসাবে ১০০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়৷ ১০০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ে জরিমানা দিতে ব্যর্থ হন আহমেদাবাদের এই ব্যবসায়ী৷ শুধু তাই নয়, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মহেশ শাহ৷ তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেননি। এদিন ইটিভি গুজরাত চ্যানেলের স্টুডিও থেকে তাঁকে আটক করে আয়কর দফতরের আধিকারিরা।
তবে এখানেই শেষ নয়। তিনি জানিয়েছে এই অঙ্কের কালো টাকা তাঁর একার নয়। কেননা এর পিছনে আছেন আরও অনেকের। বিভিন্ন লোকের টাকা তাঁর নামে চালানো হয়েছে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে কারও নাম এখনও সামনে আনেননি তিনি। জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের সামনেই তিনি ফাঁস করবেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকের কোনও ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। চ্যানেলের দ্বারস্থ হযে তিনি একরকম আত্মসমর্পণই করতে চেয়েছিলেন। লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালীনই আয়কর দফতর হানা দিয়ে আটক করে তাঁকে।তবে ঘটনায় অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িয়ে থাকারও সম্ভাবনা আছে বলে করছে ওয়াকিবহাল মহল।