সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বয়ং জগন্নাথদেবের অর্থ আটকে গিয়েছে ইয়েস ব্যাংকে। আর্থিক সংকটের জেরে ইয়েস ব্যাংকে নগদ লেনদেনের উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল রিজার্ভ ব্যাংক। এক মাসের জন্য টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়েছে ৫০ হাজার। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দিরের কোষাগারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে রয়েছে ইয়েস ব্যাংকে। সরকারি বিধি মেনে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই অর্থ এখন তুলতে পারবেন না। আটকে থাকা এই অর্থের পরিমাণ ৫৪৫ কোটি টাকা। স্বয়ং জগন্নাথদেবের নামেই এই টাকাটা জমা করা হয়েছে। এই টাকার মালিক স্বয়ং তিনি।
তবে তিরুমালার বেঙ্কটেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ ইয়েস ব্যাংকে জমা রাখা ১৩০০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট গত বছর অক্টোবর মাসেই তুলে নিয়েছিল। তাই তাদের টাকা আটকে যায়নি। এই টাকা জমা করেছিল তিরুপতি তিরুমালা দেবস্থানম ট্রাস্ট। তিরুমালার মন্দির কর্তৃপক্ষের ৩৭টি ফিক্সড ডিপোজিট ছিল ইয়েস ব্যাংকে। ফলে আপাতত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘রাজধানীর হিংসা পরিকল্পিত’, রিপোর্ট দিল দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশন]
এই অবস্থায় পুরীর মন্দিরের প্রবীণ দৈতাপতি বিনায়ক দাস মহাপাত্র জানিয়েছেন, “এর জেরে ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। আমরাও খুব উদ্বেগে রয়েছি। একইসঙ্গে আমরা পুলিশের কাছে বিস্তারিত তদন্তের আরজি জানিয়েছি। এটা জানা দরকার সামান্য বেশি সুদের লোভে কারা কেন ইয়েস ব্যাংকের মতো এক অনামী বেসরকারি ব্যাংকে জগন্নাথদেবের এতটা বিপুল টাকা গচ্ছিত রাখল? এর পিছনে অন্য স্বার্থ নেই তো? স্বয়ং ভগবানের নামে এতটা টাকা শুধুমাত্র অখ্যাত বেসরকারি ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা পুরোপুরি অবৈধ। পুরীর মন্দির প্রশাসন এবং মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটি এর জন্য পুরোপুরি দায়ী।’’
সূত্রের খবর, ইয়েস ব্যাংকে পুরীর মন্দিরের ৫৪৫ কোটি টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে নেই। রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট আকারে। ফলে চলতি পরিস্থিতিতে ওই অর্থ ফেরত পাওয়া আদতে বেশ কঠিন হয়ে পড়ল। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের কাছে শ্রী জগন্নাথদেবের টাকা অবিলম্বে মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
The post ইয়েস ব্যাংকের গেরোয় পুরীর জগন্নাথদেবও, আটকে ৫৪৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট appeared first on Sangbad Pratidin.