সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে তুঙ্গে গোমাংস রাজনীতি। ‘মোষ জবাই হলে, গরু কেন নয়’, প্রশ্ন রাজ্যের কংগ্রেস মন্ত্রীর। সদ্য দাক্ষিণাত্যে বিজেপির শেষ গড় দখল করে কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। এবং গোমাংস বিতর্ক ফের উসকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটারদের মন পাওয়াই তাদের উদ্দেশ্য বলে ধারণা।
গত শনিবার কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকের পশুপালন মন্ত্রী কে বেঙ্কটেশ বলেন, “মোষ যদি জবাই করা যায়, তাহলে গোমাংসে আপত্তি কোথায়?” পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের আমলে তৈরি গোহত্যা বিরোধী আইন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে (আইন বাতিল) কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে এই আইনে মোষের সাংসে কোনও আপত্তি নেই। আমাপ প্রশ্ন, মোষ জবাই হলে, গরু কেন নয়।” উল্লেখ্য, গোহত্যা বিরোধী আইন বাতিল বা সংশোধনের আশঙ্কা উসকে তিনি আরও বলেন, “এনিয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
এদিকে, কংগ্রেস মন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তাঁর কথায়, “স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী গোহত্যার বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁর আবেগকে সম্মান জানিয়ে ১৯৬০ বা ওই সময় বহু রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ করতে আইন প্রণয়ন করা হয়।” সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইঙ্গিতে তোপ দেগে সদ্য গদিচ্যুত বর্ষীয়ান ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, “গোরুকে মাতৃরূপে আরাধনা করে ভারতীয়রা। এর সঙ্গে তাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। গোহত্যার কথা বলে কাকে খুশি করতে চাইছেন বেঙ্কটেশ?”
[আরও পড়ুন: ‘দায়িত্ব শেষ হয়নি, নিখোঁজদের বাড়ি ফেরাতে হবে’, বলতে বলতেই কান্নায় গলা ভারী রেলমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, গোরক্ষায় বিগতদিনে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) তৈরি হয় আস্ত একটি মন্ত্রক। গরু এবং গো-শালা সংরক্ষণে উৎসাহ দিতে ‘গো-মন্ত্রক’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ২০২০ সালে কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভায় পাশ হয় গো-রক্ষা ও গো-নিধন (Cow Slaughter) বন্ধে বিশেষ বিল। শুধু তাই নয়, রীতিমতো সাড়ম্বরে আয়োজন করা হয়েছিল গো-পুজোও।