shono
Advertisement

প্রতিমা অষ্টভুজা, ৩০০ বছরের ঐতিহ্য মেনে বালুরঘাটে শুরু অকাল কালীপুজো

জেনে নিন পুজোর ইতিহাস।
Posted: 07:41 PM Mar 20, 2022Updated: 07:42 PM Mar 20, 2022

রাজা দাস, বালুরঘাট: করোনার (Coronavirus) দাপট অনেকটা কমেছে বাংলায়। এখনও প্রতিদিনই রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়লেও সংখ্যা অত্যন্ত কম। পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বালুরঘাটে শুরু হল ৩০০ বছরের প্রাচীন চঞ্চলা কালীপুজো ও মেলা। পুজো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দূরদূরান্তের মানুষ।

Advertisement

কথিত আছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের হোসেনপুরের চকবাকর গ্রামে এই কালীপুজো শুরু হয়েছিল অন্তত ৩০০ বছর আগে। পূর্বে গভীর জঙ্গলের মাঝে মা কালীর প্রথম দর্শন পেয়েছিলেন কেরানু বর্মণ নামে এক গ্রামবাসী। তিনিই প্রথম কালীপুজো শুরু করেন। এলাকার নামানুসারে এই কালীর নাম হয় চঞ্চলা। বর্তমানে এই পুজোটি কমিটি দ্বারা পরিচালিত। কালী এখানে অষ্টভুজা। উচ্চতা ১০ ফিটের বেশি। ছিন্ন মস্তক অসুর এবং সিংহের পিঠে অধিষ্ঠান করেন চঞ্চলা কালী।


[আরও পড়ুন: সম্মতি জানিয়েছিলেন স্বয়ং পুরুষোত্তম, প্রভু জগন্নাথের সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল এক বাঙালি কন্যার]

প্রতিবছর দোল পূর্ণিমার পরের দিন কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজোকে ঘিরে চলে তিনদিন ব্যাপী মেলা। বালুরঘাট তো বটেই, আশপাশের ব্লকের অগণিত মানুষ এখানে এসে ভোগ খান। মাতেন মেলায়। চঞ্চলা কালীপুজো কমিটির কর্মকর্তা সোনাকুমার চৌধুরী বলেন, “পুরনো বা প্রচলিত নিয়মেই আমাদের পুজোটি চলে। এখানে পাঠা বলি প্রথা রয়েছে। এবারও শতাধিক পাঠা বলি হয়। গত দু’বছর করোনার সংকটের কারণে এই পুজো কিছুটা ফিকে হয়েছিল। কিন্ত সেসব সমস্যা দূরে সরিয়ে এবছর ভক্ত ও পূর্ণার্থীরা মানত কামনায় ফের আমদের পুজোয় সামিল হয়েছেন।”

[আরও পড়ুন: অবিকল মা ভবতারিণীর মূর্তির মতোই আরও দুই মূর্তি আছে বাংলায়, কোথায় জানেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement